‘সংসদে যাওয়ার প্রশ্নে ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সংসদে না যাওয়ার বিষয়ে অনড় থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে ফরম বিক্রির শুরুতে এ সম্ভাবনার কথা জানান তিনি।

ভোটে জয়ী গণফোরামের দুই নেতার সঙ্গে কথা হয়েছে,  জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের বক্তব্য- জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে, আমরা জনগণের হয়ে সংসদে কথা বলতে চাই। এরকম মনোভাব তাদের মধ্যে আছে। এই অবস্থায় তাদের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না করার যে সিদ্ধান্ত, সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর নাও হতে পারে।’

‘বিএনপির পাঁচজনের বেলায় কী হবে, সেটা এই মুহূর্তে বলা যাবে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম যে নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের চাপের মুখে কতদিন শপথ না নিয়ে থাকতে পারবেন, এটাও ভেবে দেখতে হবে। অথবা কৌশলগত কারণে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে,’ বলেন ওবায়দুল কাদের।

সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে গণফোরামের প্রার্থী সুলতান মো. মনসুর আহমেদ ও মুকাব্বির খান শেষ পর্যন্ত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বারণ মানবেন না বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

বিএনপি না আসলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কি না, জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থিতার অভাব হবে বলে মনে হচ্ছে না। এটা তো জাতীয় নির্বাচন না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী অনেক থাকবে। তবে এখানে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ একেবারেই কম। বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও অনেক দলই নির্বাচন করবে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসবে না, এটা অফিসিয়ালি, দলীয়ভাবে তারা বলেছে। কিন্তু ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে তাদের ওয়ার্ড পর্যায়ে অনেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। কাউন্সিলরে দলীয় প্রতীক নেই, তারা কিন্তু নির্বাচনে আছে। তারা একেবারে মাঠে নেই, এ কথা বলা যাচ্ছে না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি এই মূহূর্তে ছত্রভঙ্গ, এলোমেলো একটা দল। পথিক যেমন পথ হারায়, নির্বাচনে হেরে সেই দিশেহারা পথিকের মতো এখন বিএনপি। তারা কী করবে না করবে, সেটাই ভেবে পাচ্ছে না। কিংকর্তব্যবিমূঢ় এখন বিএনপি। তাদের দলের মধ্যে যখন মিটিং বসে তখন ভিন্ন ভিন্ন মত আমরা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/রেজা/রফিক