ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

গবেষকরা বীর্যে নতুন যে মারাত্মক ভাইরাস পেয়েছেন

এস এম গল্প ইকবাল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ৯ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গবেষকরা বীর্যে নতুন যে মারাত্মক ভাইরাস পেয়েছেন

প্রতীকী ছবি

এস এম গল্প ইকবাল : আপনি জানেন যে, যৌন সংসর্গে প্রেরিত ইনফেকশন, যেমন- হার্পিস এবং হিউম্যান ইমিউনোডেফিশিয়েন্সি ভাইরাস বা এইচআইভি (বিশেষ করে এসব যৌন সংসর্গে প্রেরিত রোগ সঙ্গীর মধ্যে থাকলে), প্রতিরোধ করার জন্য প্রটেক্টেট সেক্স বা নিরাপদ যৌন সহবাস বিজ্ঞতার পরিচয় বহন করে।

কিন্তু সম্প্রতি গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে, জিকা ভাইরাসও যৌন সহবাসের মাধ্যমে প্রেরণ হতে পারে। সম্প্রতি একদল ব্রিটিশ গবেষক ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের বীর্যে প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের গাইডলাইনে যৌন সংসর্গে প্রেরিত রোগের তথ্য আপডেট করার জন্য ইবোলাই একমাত্র রোগ নয়।

প্রথমত, ছোট্ট একটি ইতিহাসে ফিরে যাওয়া যাক। ২০১৬ সালে ইতালির গবেষকরা বিকেভি নামক একটি ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেন যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপকারী। থিওরি ছিল যে বিকেভি শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত তরলের মাধ্যমে ছড়ায়। কিন্তু গবেষকরা আবিষ্কার করেন যে, বিকেভি বীর্যের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।

ইমার্জিং ইনফেকশনস ডিজিজেস জার্নালে (সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের একটি প্রকাশনা) প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় জানা যায়, ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের গবেষকরা বীর্যে কোন কোন ভাইরাসের উপস্থিতি আছে তা জানার জন্য বৈজ্ঞানিক তথ্য নিয়ে গবেষণা করেন। তারা সিদ্ধান্তে আসেন যে, বীর্যে কমপক্ষে ২৭ রকম ভাইরাস পাওয়া যেতে পারে। স্বাতন্ত্র্যসূচক যৌনবাহিত রোগ এইচআইভি এবং হার্পিস ছাড়াও অপ্রত্যাশিত রোগ ইবোলা, জিকা, লাসা ফিবার, চিকুনগুনিয়া, চিকেন পক্স, মারবার্গ, এপস্টেইন বার এবং মাম্পস ভাইরাস বীর্যে পাওয়া যায়।

গবেষণায় নেতৃত্বদানকারী অ্যালেক্স সালাম ওয়েবএমডি ডটকমকে বলেন, বীর্যে ভাইরাস শণাক্তকরণ গবেষণায় বীর্যে ভাইরাল জেনেটিক ম্যাটারিয়াল বা ভাইরাল প্রোটিন পাওয়া যায়। তিনি আরো বলেন, ‘এটি জেনে রাখা প্রয়োজন যে, এ গবেষণা এটা বোঝাচ্ছে না যে এ ভাইরাস দীর্ঘস্থায়ী এবং পুনরুৎপাদনক্ষম। এটা প্রমাণ করতে ভাইরাসটিকে বিচ্ছিন্ন করা প্রয়োজন হবে এবং কোষ অথবা প্রাণীর মধ্যে এ ভাইরাসকে বেড়ে উঠতে দিতে হবে। অনেক ভাইরাসের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা করা হয়নি। তাই এসব ভাইরাস দীর্ঘস্থায়ী অথবা স্বল্পস্থায়ী কিনা আমরা জানি না।’

এসব ভাইরাস পুনরুৎপাদনক্ষম না হলেও তারা দীর্ঘ সময় ধরে বীর্যে থাকতে পারে। কিভাবে? এ কারণটাকে ইমিউন প্রিভিলেজ বলা হয়। ইমিউন প্রিভিলেজ বৈজ্ঞানিক নাম। শরীরের কয়েকটি অংশ ইমিউন প্রিভিলেজের আওতাভুক্ত এবং শুক্রাশয় হচ্ছে এসবের একটি।

যদি ভাইরাল মহামারী আবির্ভূত হয়, তাহলে রক্ত, মুখের লালা এবং যৌন সংক্রমণ পর্যবেক্ষণ করা উচিত। গবেষকরা আবিষ্কার করেন যে, বীর্য সংক্রমিত অবস্থায় দুই বছর পর্যন্ত থাকতে পারে। তাই বীর্য সম্পর্কিত ঝুঁকি এড়াতে সেইফ সেক্স বা নিরাপদ যৌন সহবাসের চর্চা করতে পারেন।

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ অক্টোবর ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়