ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ক্যানসারের ঝুঁকি কমানোর উপায় (প্রথম পর্ব)

এস এম গল্প ইকবাল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০০, ২২ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ক্যানসারের ঝুঁকি কমানোর উপায় (প্রথম পর্ব)

প্রতীকী ছবি

এস এম গল্প ইকবাল : ক্যানসার একটি প্রাণঘাতী রোগ। সারা বিশ্বে রোগে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ক্যানসার। আমাদের ভুল জীবনযাপন, খাবার সম্পর্কে অসচেতনতা ও স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। ক্যানসারের ঝুঁকি কমানোর ৩৬টি উপায় নিয়ে চার পর্বের প্রতিবেদনের প্রথম পর্বে ১২টি উপায় আলোচনা করা হলো।

* কোলনোস্কপি করুন
ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য একটি নিশ্চিত উপায় হচ্ছে, নিয়মিত সুপারিশকৃত স্ক্রিনিং করানো। যদিও স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের উন্নয়নে কোলন ক্যানসারে মৃত্যুর হার কমে গেছে, কিন্তু এখনো পঞ্চাশোর্ধ্ব অনেক লোকই কোলন ক্যানসারের জন্য স্ক্রিনিং করেন না। ক্যালিফোর্নিয়ার হুইটিয়ারে অবস্থিত পিআইএইচ হেলথের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট অশ্বিন অশোক বলেন, ‘কারো ক্যানসার ঝুঁকি কমানোর জন্য কোলরেক্টাল ক্যানসারের জন্য স্ক্রিনিং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপায়। যদিও অন্যান্য টেস্ট যেমন- এক্স-রে, সিটি স্ক্যান অথবা মল পরীক্ষা রয়েছে, কিন্তু এসবের তুলনায় কোলনোস্কপিই সবচেয়ে ভালো।’ তিনি যোগ করেন, ‘কোলনোস্কপির উপকারিতা হচ্ছে, এটি প্রকৃতপক্ষে কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে। কোলনোস্কপির সময় পলিপ নামক প্রি-ক্যানসারাস লেশন শনাক্ত করা যায় এবং তা অপসারণ করা হয়।’ কোলনোস্কপি কোনো অবহেলার বিষয় নয়। কোলনোস্কপির আগে আপনার অন্ত্র সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার করতে হবে এবং আপনাকে সিডেট করা হবে।

* ডেন্টিস্টের কাছে ভিজিট করুন
আপনি হয়তো ভাবছেন ক্যানসার প্রতিরোধের সঙ্গে ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়ার কি সম্পর্ক, কিন্তু নিয়মিত চেকআপে আপনার মুখ বা গলার যেকোনো অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়তে পারে। আলবার্ট আইনস্টাইন কলেজ অব মেডিসিনের মস্তিষ্ক, ঘাড় ও গলার ক্যানসার বিশেষজ্ঞ রবার্ট ডি. বার্ক বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে গলা ও মুখের ক্যানসারের জন্য ভালো কোনো স্ক্রিনিং টেকনিক নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও দাঁতের চিকিৎসকরা পিণ্ড ও লেশনের জন্য ওরাল ক্যাভিটি পরীক্ষা করতে পারেন।’ এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, মুখের খারাপ স্বাস্থ্যবিধি হচ্ছে মস্তিষ্ক ও ঘাড় বা গলার ক্যানসারের অন্যতম ঝুঁকির বিষয়, তাই নিয়মিত ব্রাশ ও ফ্লস করুন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের পরামর্শ হচ্ছে: যদি আপনার মুখের ফোঁড়া নিরাময় না হয় অথবা গলাব্যথা বা কর্কশতা চলে না যায় কিংবা গিলতে কষ্ট হয়, তাহলে ডেন্টিস্ট বা চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা করুন।

* মধ্যাহ্নে সূর্যের নিচে থাকবেন না
আপনি হয়তো সূর্যালোক থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন, কিন্তু সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি তীব্র তেজের সময় সূর্যের নিচে না থাকেন- বিশেষ করে গ্রীষ্মে। আলবার্ট আইনস্টাইন কলেজ অব মেডিসিন/মন্টেফিয়োর হেলথ সিস্টেমের সিনিয়র এপিডেমিওলজিস্ট জিওফ্রে কাবাট বলেন, ‘যখন আকাশে সূর্যালোক উচ্চ থাকে, তখন সমুদ্র সৈকতে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনার ত্বকের ওপর নির্ভর করছে আপনি কোন সময় সূর্যের নিচে থাকবেন না। এটি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা হতে পারে।’ বাইরে বেড়াতে গেলে পোশাকের বর্ণ বিবেচনা করুন: লাল, কালো ও হলুদের মতো উজ্জ্বল বর্ণ অধিক অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে, যা আপনার ত্বককে রক্ষা করে। এছাড়া সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা পেতে টাইট ওভেন ফেব্রিকও পরতে পারেন।

* প্রতিদিন একটি অ্যাসপিরিন সেবন করুন
ডা. অশোক বলেন, প্রতিদিন একটি অ্যাসপিরিন সেবন আপনার ক্যানসার ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে এবং অনেক গবেষণা এই পরামর্শকে সাপোর্ট দিচ্ছে। ইয়েল ক্যানসার সেন্টারের সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, অ্যাসপিরিন ব্যবহারের সঙ্গে অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের ঝুঁকি ৪৬ শতাংশ কমে যাওয়ার সম্পর্ক পাওয়া গেছে। বিভিন্ন গবেষণার একটি রিভিউ অনুসারে, অ্যাসপিরিন সেবনে ক্যানসার ছিল এমন লোকদের মৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছিল। গবেষণা লেখক এবং কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির এপিডেমিওলজিস্ট পিটার এলউড বলেন, ‘বিভিন্ন প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে সম্পাদিত আমাদের রিভিউ সাজেস্ট করছে যে নিম্ন ডোজের অ্যাসপিরিন গ্রহণে অন্ত্র, স্তন ও প্রোস্টেট ক্যানসারে মৃত্যু ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হ্রাস পায় এবং সেইসঙ্গে ক্যানসার ছড়ানোও।’ চিকিৎসকরা এখনো নিশ্চিত নন যে, অ্যাসপিরিন কিভাবে ক্যানসার প্রতিরোধ করে- সম্ভবত এটির প্রদাহবিরোধী ইফেক্ট এতে ভূমিকা রাখে। সাম্প্রতিক গবেষণা সাজেস্ট করছে যে, এটি প্লেটিলেট ও ক্যানসার কোষের ইন্টারঅ্যাকশন ব্লক করতে পারে, যা অস্বাভাবিক গ্রোথে বাধা দেয়। অ্যাসপিরিন সেবন শুরু করার পূর্বে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

* মাউথওয়াশ পরিহার করুন
কিছু গবেষণায় প্রতিদিন মাউথওয়াশ ব্যবহারের সঙ্গে ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধির সংযোগ পাওয়া গেছে। ডা. বার্ক বলেন, ‘মুখের ক্যানসারের একটি ঝুঁকির বিষয় হচ্ছে অ্যালকোহল, তাই যে মাউথওয়াশে উচ্চ অ্যালকোহল কনটেন্ট রয়েছে তাও ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’ যদিও এই সংযোগ সম্পর্কে ভালোভাবে বোধগম্য হওয়া যায়নি, কিন্তু তারপরেও নিরাপত্তার জন্য অ্যালকোহল নেই এমন মাউথওয়াশ ব্যবহার করাই ভালো। অথবা সবচেয়ে ভালো হয় যদি সবধরনের মাউথওয়াশ পরিহার করে নিয়মিত ব্রাশ ও ফ্লস করেন।

* অ্যালকোহল সীমিত করুন
অ্যালকোহল ও ক্যানসারের মধ্যে সম্পর্ক ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত। ইউ.এস. ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেসের তালিকায় অ্যালকোহলিক পানীয়কে কার্সিনোজেন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গ মেডিক্যাল সেন্টারের হেড অ্যান্ড নেক অনকোলজিক সার্জারি ডিপার্টমেন্টের প্রধান রবার্ট এল. ফেরিস বলেন, ‘অত্যধিক ও দীর্ঘস্থায়ী অ্যালকোহল সেবন ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করতে পারে, কিন্তু ক্যানসার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ।’ কাবাট বলেন, ক্যানসারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যমাত্রায় বেড়ে যাবে যদি আপনার অত্যধিক অ্যালকোহল সেবনের পাশাপাশি ধূমপানের অভ্যাসও থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট অনুসারে, অ্যালকোহল ও ক্যানসারের মধ্যে অন্যান্য সম্পর্ক রয়েছে: অ্যালকোহলের ইথানল ভেঙে টক্সিক কেমিক্যালে পরিণত হয় যা ডিএনএ ড্যামেজ করতে পারে, অ্যালকোহল ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে এমন পুষ্টি শোষণে শরীরকে বাধা দেয় এবং এটি ইস্ট্রোজেন বৃদ্ধি করে যা স্তন ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। গাঁজানো প্রক্রিয়ার সময় অ্যালকোহলিক পানীয়তে ক্যানসার-সৃষ্টিকারী কেমিক্যালও প্রবেশ করে। তাই অ্যালকোহল সেবন সীমিত করুন, সবচেয়ে ভালো হয় যদি অ্যালকোহল পান থেকে বিরত থাকেন।

* মিষ্টান্ন খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন
দুর্ভাগ্যক্রমে চিনি খাবারকে মুখরোচক করলেও এর অনেক নেতিবাচক দিক রয়েছে- যার একটি হচ্ছে ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি। স্পেনের একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে, উচ্চ চিনির মাত্রা কোষের অস্বাভাবিক গ্রোথের কারণ হতে পারে। ডা. ফ্রান্সিস বলেন, ‘একটি বড় থিওরি হচ্ছে, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট ও প্রক্রিয়াজাত খাবার ভোজনজনিত সাধারণ প্রদাহের সম্পর্কযুক্ত ফ্যাক্টর ক্যানসার ঝুঁকির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত গ্রোথ ফ্যাক্টর বৃদ্ধি করতে পারে। তিনি পরামর্শ দেন, ‘সাদা চিনি সীমিত আছে এমন ডায়েটের মাধ্যমে শরীরে আদর্শ ওজন বজায় রাখুন।’

* হট ডগস এড়িয়ে চলুন
চিনির মতো অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাবারও এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন, বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত মাংস- যাকে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার (আইএআরসি) কার্সিনোজেন হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করেছে। এর মানে হচ্ছে আপনাকে হট ডগস, হ্যাম, বেকন, সসেজ ও কিছু ডেলি মিট এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়া স্মোকড অথবা কিউরড মাংসও এড়িয়ে চলুন, কারণ স্মোকিং বা কিউরিং প্রক্রিয়া ক্যানসার-সৃষ্টিকারী কেমিক্যাল উৎপাদনের কারণ হতে পারে। মাঝেমাঝে এসব খাবার ভোজন ঠিক আছে, কিন্তু প্রতিদিন এসব খাবার ভোজনে কোলরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। গবেষণা অনুসারে, আপনি যত বেশি প্রক্রিয়াজাত মাংস খাবেন, আপনার কোলরেক্টাল ক্যানসার ও অন্যান্য ক্রনিক রোগ বিকশিত হওয়ার ঝুঁকি তত বেড়ে যাবে, বলেন হার্ভার্ড টি.এইচ. চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষণা বিজ্ঞানী কানা ওউ।

* লাল মাংস খাওয়া কমিয়ে দিন
দুর্ভাগ্যজনকভাবে ক্যানসার প্রতিরোধী ডায়েটে লাল মাংসকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। আইএআরসি এটিকে সম্ভাব্য কার্সিনোজেন হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করেছে এবং আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি নিম্ন লাল মাংসের ডায়েট সুপারিশ করছে। ডা. ওউ বলেন, ‘আমরা যেমন মাঝেমাঝে বিশেষ উপলক্ষ্যে বড় চিংড়ি খাই, তেমনি মাঝেমাঝে লাল মাংসও খাওয়া যেতে পারে।’ আমেরিকান ইনস্টিটিউট ফর ক্যানসার রিসার্চ সপ্তাহে ১৮ আউন্সের বেশি লাল মাংস না খেতে পরামর্শ দিচ্ছে।

* গ্রিলিং থেকে দূরে থাকুন
যদি আপনি মাংস খেতে চান, তাহলে এটি কোন পদ্ধতিতে রান্না করবেন তা বিবেচনা করুন। ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনার একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিলড ও বারবিকিউড মাংস ভোজনে স্তন ক্যানসারের রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। অগ্নিশিখা বা গরম কয়লার ওপর মাংস রান্না করলে বিপজ্জনক কেমিক্যাল হিটেরোসাইক্লিক অ্যামাইন (এইচসিএ) এবং পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন (পিএএইচ) উৎপাদন হতে পারে, বলেন জর্জিয়ায় অবস্থিত পায়েডমন্ট হেলথকেয়ারের রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ান শায়না কুমার। তিনি যোগ করেন, ‘এসব কেমিক্যাল রিয়্যাকশন মাংসের কম্পাউন্ডকে ক্যানসার-সৃষ্টিকারী অ্যাজেন্টে রূপান্তর করে।’

* মেডিটারেনিয়ান ডায়েট বিবেচনা করুন
ডা. ওউ বলেন, ‘প্রচুর শাকসবজি, ফল, হোল গ্রেন, লেগিউম, বাদাম, জলপাই তেল, মাছ ও হাঁস-মুরগির মাংস আছে এমন মেডিটারেনিয়ান ডায়েটের ক্যানসার-প্রতিরোধী উপকারিতা আছে।’ নেদারল্যান্ডসের একটি সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, যেসব নারী মেডিটারেনিয়ান ডায়েট অনুসরণ করেছিল তাদের মধ্যে স্তন ক্যানসারের প্রাদুর্ভাব ৪০ শতাংশ কম ছিল। ডা. কাবাট বলেন, ‘সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য মেডিটারেনিয়ান ডায়েটের কোনো জুড়ি নেই। প্রচুর শাকসবজি, শিম, বাদাম, বীজ, নিম্নমাত্রার সরল কার্বোহাইড্রেটের খাবার এবং অল্প পরিমাণে হাঁস-মুরগির মাংস, মাছ ও মাংস আছে এমন ডায়েট আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য সর্বোত্তম হতে পারে।’

* পরিষ্কারকরণের সময় রাবার গ্লাভস ব্যবহার করুন
আপনি শুধু বাইরের দূষণ থেকেই নয়, আপনার ঘরের ভেতর থেকেও এনভায়রনমেন্টাল টক্সিনের সংস্পর্শে আসতে পারেন। গৃহস্থালিসংক্রান্ত পরিষ্কারকরণ প্রোডাক্টে টক্সিক কেমিক্যাল থাকে যা ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে, যেমন- থ্যালেট, পেট্রোলিয়াম সলভেন্ট ও ফরমালডিহাইড। একটি গবেষণায় পাওয়া যায়, যেসব নারী বেশি করে হাউজহোল্ড ক্লিনিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করেছেন তাদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি যারা এসব প্রোডাক্ট তেমন একটা ব্যবহার করেননি তাদের তুলনায় দ্বিগুণ ছিল। যেহেতু এসব হাউজহোল্ড ক্লিনারে টক্সিক কেমিক্যাল থাকে, তাই এসব ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যেমন- রাবার গ্লাভস পরিধান করা। ডা. কাবাট বলেন, ‘রাবার গ্লাভস ছাড়া স্ট্রং সলভেন্ট, ড্রেইন ক্লিনার অথবা ত্বকে শোষিত হতে পারে এমন ক্লিনিং অ্যাজেন্ট ব্যবহার করবেন না।’ অথবা নন-টক্সিক প্রোডাক্ট (যেমন- বেকিং সোডা ও ভিনেগার) দিয়ে পরিষ্কার করাই তুলনামূলক ভালো।

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ নভেম্বর ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়