ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ধূমপানের চেয়ে জাংক ফুডে বেশি মানুষ মারা যায়!

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:০২, ৯ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ধূমপানের চেয়ে জাংক ফুডে বেশি মানুষ মারা যায়!

প্রতীকী ছবি

আহমেদ শরীফ : সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ধূমপানকে স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর বিবেচনা করা হয়। ধূমপানের কারণে ক্যানসার, হৃদরোগ, শ্বাসকষ্টজনিত রোগের আশঙ্কা বাড়ে। তবে এই ধূমপানের চেয়েও প্রাণঘাতী এক কারণে মানুষ মারা যাচ্ছে বেশি।

আমেরিকার সিয়াটলের প্রতিষ্ঠান হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড এভালুয়েশন ১৯৫টিরও বেশি দেশে নতুন এক গবেষণা চালিয়েছে। এতে দেখা গেছে, মানহীন খাবার খাওয়ার কারণে ধূমপানের চেয়েও বেশি দ্রুত হারে মানুষ মারা যাচ্ছে এখন। এক্ষেত্রে জাংক ফুডকেই দায়ী করছেন গবেষকরা। ফাস্ট ফুড, অপরিমিত স্ন্যাকস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তা আগে থেকেই বলে আসছিলেন পুষ্টিবিদরা। এছাড়া মাঝরাতে চিপস, ডোনাটসের মতো স্ন্যাকস খাওয়া, নিয়মিত চকোলেট খাওয়া এসবও বিশ্বজুড়ে মানুষকে মৃত্যুর দিকে দ্রুত ঠেলে দিচ্ছে, বলছেন গবেষকরা।

জাংক ফুড মৃত্যুর কারণ : সিয়াটলের প্রতিষ্ঠানটি যে গবেষণা  পরিচালনা করে, তার নাম দেয়া হয় ‘গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ’। এতে জানা যায় বিশ্বজুড়ে এখন ধূমপানের চেয়ে বেশি মারা যায় জাংক ফুড খাওয়ার কারণে। গবেষণায় জানা গেছে, ধূমপানের কারণে যেখানে ৮ মিলিয়ন মানুষ মারা যায়, তার বিপরীতে জাংক ফুড ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে উচ্চ রক্তচাপের প্রভাবে মারা যায় ১১ মিলিয়ন মানুষ। আর জাংক ফুড খেয়ে মারা যাওয়া মানুষের মাঝে কম বয়সীরাই বেশি। মৃতদের ২২ শতাংশই ৭০ বছরের কম বয়সী জানা গেছে। গবেষণায় উঠে এসেছে- শাকসবজি বা পুষ্টিকর খাবারের পরিবর্তে প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার কারণেই মৃত্যুর হার বাড়ছে মানুষের। স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়ার কারণে হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক, টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো রোগ বাড়ছে। গবেষণাটিতে আরেকটি বিষয় উঠে এসেছে, তা হলো বিশ্বে ধনী লোকরাই বেশি মাংস, প্রক্রিয়াজাত খাবার, জাংক ফুড খায় বেশি।

কিভাবে জাংক ফুডের প্রভাব কমানো যায়? : নতুন গবেষণাটিতে মজার একটি উপায়ও বলা হয়েছে। আর তা হলো- জাংক ফুড হুট করে যদি কমানো না যায়, তাহলে এর সঙ্গে খাদ্যশস্য ও শাকসবজি জাতীয় খাবার খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। জাংক ফুড পরিহার করার ক্ষেত্রে কয়েক মাস আগে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর আরেকটি গবেষণা পরিচালনা করেন। তিনি জানান, কেউ যদি দিনে ৬টির বেশি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই না খায়, তাহলে ওই ব্যক্তি ভবিষ্যতে সুস্থ থাকবেন। আর ৬টি ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর সালাদ খেলে শরীরে পুষ্টির ভারসাম্য রক্ষা হয়।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ মে ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়