ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বাজেটের আকার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৫৮, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাজেটের আকার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ

কেএমএ হাসনাত: দেশের বাজেট প্রণয়নে অর্থ যোগানে এখন আর পরমুখাপেক্ষী হতে হয় না, এখন নিজস্ব অর্থে বার্ষিক উন্নয়ন বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে দেশের বাজেট প্রতিবছরই বড় হচ্ছে। গত পাঁচ বছরের বাজেট পর্যলোচনা করলে দেখা যায় যে, বাংলাদেশের বাজেটের আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়ছে।

 

ক্রমিক নং   

অর্থবছর   

বাজেটের আকার (কোটি টাকায়)

২০১৪-২০১৫   

            ২,৬০,৫০৮

                     ২০১৫-২০১৬   

            ২,৯৫,১০০

                     ২০১৬-২০১৭   

            ৩,৪০,৬০৫

                     ২০১৭-২০১৮

            ৪,০০,২৬৬

                     ২০১৮-২০১৯               

            ৪,৬৪,৫৭৩

 

জাতীয় বাজেট ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে দুই লাখ ৬০ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে তিন লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা এবং ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকা ছিল। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাজেট বেড়ে চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সরকার অর্থনৈতিক ধারাবাহিকতা ও সফলতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।

২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়নের জন্য এনবিআর কর্তৃক রাজস্ব আদায়ের মাত্রা ধরা হয়েছে ২,৯৬,২০১ কোটি টাকা এবং এনবিআর বহিভর্’ত অর্থ আদায় রাখা হয়েছে ৪৩,০৭৯ কোটি টাকা যা মিলিয়ে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩,৩৯,২০৮ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বাজেট বাস্তবায়নে ঘাটতি অর্থ পূরণে বিভিন্ন তহবিলের সহায়তা নেওয়া হবে।

২০১৮-২০১৯ অর্থবছরেও বাজেটে কৃষি ভর্তুকি ও সামাজিক কাজে ভর্তুকি রাখা হয়েছে। সামাজিক খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৪ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১৩ শতাংশ। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর তাই ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ রাখার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। পাশাপাশি চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ ও মাথাপিছু আয় একহাজার ৯৫৬ ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ চলছে।

২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে দারিদ্র্যের হার কমে ২২ শতাংশ হয়েছে যা ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ। চাল আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে যাতে কৃষক তার ন্যায্য মূল্য পায়। প্লাস্টিক ব্যাগে কর বাড়ানোতে তা পরিবেশ বান্ধব হবে। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ মাসিক ৪০০ টাকা করে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন যা মোট বয়স্ক জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ। সব কর্মজীবী মানুষের জন্য সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৩৫ লাখ থেকে ৪০ লাখ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ ডিসেম্বর ২০১৮/হাসনাত/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়