ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

বেড়েছে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান, কমেছে মামলা ও গ্রেপ্তার

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৪১, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বেড়েছে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান, কমেছে মামলা ও গ্রেপ্তার

এম এ রহমান মাসুম: দুর্নীতি প্রতিরোধ কাজকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে অভিযানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও ২০১৮ সালে আশংকাজনকহারে কমেছে মামলা ও অনুসন্ধানের সংখ্যা। যদিও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতনদেরও বরাবরই প্রতিরোধ কাজকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্তকাজের গুনগতমান বৃদ্ধিতে বেশি মনযোগ ছিল।

২০১৮ সালে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান বৃদ্ধি পেলেও মামলা ও চার্জশিটের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে আশংকাজনক হারে। তবে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে সাজার হার।

জনগণের আস্থা বৃদ্ধিতে অভিযান জোরদার করা, দুর্নীতির উৎস বন্ধে ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিমের সুপারিশ বাস্তবায়নে অধিক মনোযোগ দেওয়া ও ফাঁদ পেতে ঘুষখোর ধরাসহ প্রতিরোধের বিভিন্ন কাজে সারাবছরই অধিক মনোযোগী ছিল সংস্থাটি। তবে মুক্তি মেলেনি সরকার বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হয়রানি করার অভিযোগ থেকে।

২০১৬ সালের ১৪ মার্চ কমিশনের পঞ্চম চেয়ারম্যান হিসেবে ইকবাল মাহমুদ দায়িত্ব নিয়ে পার করেছেন আড়াই বছরের বেশি সময়। বছরব্যাপী দুদকের কার্যক্রম প্রসঙ্গে রাইজিংবিডিকে তিনি বলেন, ‘আমি এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নিয়েছি আড়াই বছর। এ সময়ে আমার বক্তব্য হচ্ছে, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমাদের একার পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব নয়। সকলের সহযোগিতা লাগবে। আমার মূল্যায়ন হচ্ছে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ কিছুটা হয়েছে তবে সার্বিকভাবে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। সেখানে আমাদের সংস্থার ব্যর্থতা রয়েছে। আমাদের কর্মকর্তাদের ব্যর্থতা রয়েছে।’

দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুই শতাধিক অভিযানে ব্যাপক সাড়া: যেখানে প্রতারণা, জালিয়াতি, সরকারি সম্পদ আত্মসাতসহ বিভিন্ন দুর্নীতির ঘটনা সেখানেই অভিযান- এ লক্ষ্য নিয়ে চলতি বছরের জুলাই মাসে তাৎক্ষণিক অভিযান চালাতে কমিশন এনফোর্সমেন্ট সেলের কার্যক্রম শুরু হয়। রাজধানী থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ে চলছে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান। এতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তরের অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। কর্মদিন কিংবা সরকারি ছুটির দিনেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ইতিমধ্যে বিআরটিএ, পাসপোর্ট অধিদপ্তর, বিআরটিএ, বিমানবন্দর, জেলখানা, সিভিল সার্জন, ওয়াসা, হজ এজেন্সি, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), শিক্ষা ভবন, বিভিন্ন হাসপাতাল, সিএজি, বিএসটিআই, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুই শতাধিক অভিযান চালানো হয়েছে। বিশেষ করে সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনায় গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। অভিযানে রাজধানীর শান্তিনগরসহ কয়েকটি স্থানে রাজউকের নকশা-বহির্ভূতভাবে নির্মিত ভবনের অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে, বান্দরবানে পাহাড় কাটা বন্ধ হয়েছে, ওয়াসার কয়েকজনকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, অনেক স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ নেওয়া অতিরিক্ত ফি ফেরত দেওয়া ও কোচিং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে আনার অভিযান ও সুপারিশসহ উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে চলতি বছরে।

কমেছে অভিযোগ, অনুসন্ধান, মামলা ও চার্জশিট: ২০১৭ সালের তুলনায় এবছর অভিযোগ, মামলা ও চার্জশিটের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কমেছে। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত পার্থক্যটা অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রায় ৫ হাজার ৭৭৩ এবং মামলার ও চার্জশিটের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৩৩ ও ১২৪টি। ২০১৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দুদকে মামলা ও আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল হয় যথাক্রমে ২২২টি ও ৩৫৪টি। যেখানে ওই একই সময়ে চলতি বছরে মামলা ও চার্জশিট দাখিল হয়েছে ১৮৯টি ও ২৩০টি। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১২ হাজার ২২৭টি অভিযোগ দুদকে জমা হয়। যেখানে ২০১৭ সালে ১৮ হাজার লিখিত অভিযোগ পেয়েছিল। চলতি বছর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল (এফআরটি) বা আসামিদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে মোট ১২৭টি মামলায়। যেখানে ২০১৭ সালে ২২৫টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল। পরিসমাপ্তি বা নথিভুক্তি হয়েছে ৩২৭টি অনুসন্ধান।

কমেছে ফাঁদ মামলা ও গ্রেপ্তার: ২০১৭ সালে দুদক ফাঁদের মাধ্যমে সর্বোচ্চ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছিল। ওই সময়ে ফাঁদ পেতে সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তা পর্যায়ের ৩০ জনকে ঘুষসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে সংস্থাটির বিভিন্ন টিম। এর মধ্যে নৌ-পরিবহনের  প্রধান প্রকৌশলী, শিক্ষা অফিসার, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ও বেশ কয়েকজন ভূমি কর্মকর্তা রয়েছেন। তবে ২০১৮ সালে ফাঁদের মাধ্যমে গ্রেপ্তার আভিযান কমেছে অনেকটা। সব মিলিয়ে বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের অক্টোবর পর‌্যন্ত বিভিন্ন মামলায় ৫৬ জন আসামি গ্রেপ্তার হয়। যেখানে ২০১৭ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১৮২ জন এবং ২০১৬ সালে সর্বাধিক ৩৮৮ জন আসামিকে। এছাড়া বছর জুড়ে চলেছে কম-বেশী দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমনে শুদ্ধি অভিযান।

বেড়েছে সাজার হার: ২০১৭ সালে কমিশন ও ব্যুরো আমলের মামলা মিলিয়ে সাজার হার ছিল ৫৮.৬৮ শতাংশ। এ বছরের নভেম্বর পর‌্যন্ত সাজার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ শতাংশ। সাজার হার বাড়ছে বলে দুদকও দাবি করেছে। ২০১৭ সালে কমিশনের দায়ের করা মামলায় সাজার হার ৬৪.৯৭ এবং ব্যুরোতে ৩৬.৪৩ শতাংশ। যেখানে ২০১৬ সালে সাজার হার ছিল প্রায় ৫২ শতাংশ। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর পর‌্যন্ত ১ হাজার ৩২১টি মামলায় আসামিদের বিচারিক আদালতে সাজা হয়।

শিক্ষাখাত নিয়ে বেশি সক্রিয় দুদক: প্রশ্নপত্র ফাঁস, ভর্তি বাণিজ্য, পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি ও কোচিং বাণিজ্যসহ শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে গত বছরের মতো এবছরও সক্রিয় ছিল দুদক। এর প্রেক্ষিতে দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক টিমসহ কয়েকটি টিম পৃথক অনুসন্ধান করে বেশকিছু দুর্নীতি ও অনিয়ম চিহ্নিত করে। এরই ধারাবাহিকায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছে থেকে অবৈধভাবে সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় ২০ এর অধিক বিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে সংস্থাটির বিভিন্ন টিম। অভিযানে অনেক বিদ্যালয়কে অতিরিক্ত ফি ফেরত দিতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া নজরদারি করা হয় রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের ভর্তি কার‌্যক্রমে।

দুদক হটলাইনে আশার সঞ্চার: ‘যখনই দুর্নীতির ঘটনা, তখনই অভিযোগ’ এমন স্লোগানে গত ২৭ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে দুদক হটলাইন-১০৬। টোল ফ্রি এ অভিযোগকেন্দ্র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পর অভিযোগকারীদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গেছে। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ২২০টি ফোনকলে এসেছে বিভিন্ন অভিযোগ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মাঝে মধ্যেই হচ্ছে অভিযান। এতে দুদকের প্রতি আস্থা বাড়ছে বলে সংস্থার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

স্থাবির আলোচিত কয়লা দুর্নীতি: ২৩০ কোটি টাকা মূল্যের ১ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা আত্মসাতের ঘটনা বছরের মাঝামাঝি সময়ে আলোচিত বিষয়। ঘটনা ফাঁস হওয়ার পরপরই দুদক অনুসন্ধানে নামে। যদিও এরই মধ্যে অনেকটা বিদ্যুৎ গতিতে কয়লা ঘাটতির অভিযোগে বিসিএমসিএলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বাদী হয়ে কোম্পানির সদ্য প্রাক্তন এমডি হাবিব উদ্দিন আহমেদসহ ১৯ জনকে আসামি করে গত ২৪ জুলাই দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানায় একটি মামলা করেন। যা তফসিলভুক্ত হওয়ায় তদন্তের ভার আসে দুদকের কাছে। তদন্তকালে ১৯ আসামিসহ পেট্রোবাংলা ও বিসিএমসিএলের অর্ধশত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। যদিও জিজ্ঞাসাবাদে মামলার প্রধান আসামি প্রাক্তন এমডি হাবিবসহ সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন কয়লা চুরি বা দুর্নীতি হয়নি। যেটুকু কয়লা গায়েব হয়েছে তা প্রকৃত অর্থে সিস্টেম লস। তবে অজ্ঞাত কারণে সেপ্টেম্বরের পর থেকে মামলার তদন্তে স্থাবিরতা দেখা গেছে। যা দুদককে প্রশ্নের মুখোমুখি করেছে।

এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে অর্থ পাচারকারীরা: বছরের বিভিন্ন সময় ঘুরে ফিরে এসেছে বিদেশে অর্থপাচার নিয়ে নানা সংবাদ। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যানুসারে ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ৭ হাজার ৫৮৫ কোটি ডলার বা ৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। যা দিয়ে বাংলাদেশের প্রায় দুই অর্থবছরের বাজেট তৈরি করা সম্ভব। এর মধ্যে  ২০১৪ সালেই বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৯১১ কোটি ডলার বা প্রায় ৭২ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে পাচারকারীদের একটি বড় অংশের নাম বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। সেকেন্ড হোম, পানামা পেপার্স ও সর্বশেষ প্যারাডাইস পেপার্সে ফাঁসকৃত তথ্যে  বেশকিছু বাংলাদেশীর নাম। তবে তিনটি অনুসন্ধানে বাংলাদেশীদের বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান করলেও এখনো দুদক রয়েছে অন্ধকারে। অনুসন্ধান পর্যায়ে চলতি বছরে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও আলোর দেখা এখনো মেলিনি।

সরকারি চাকরি আইনে বন্ধ প্রায় দুদকের গ্রেপ্তার: চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর জাতীয় সংসদে পাস হয় সরকারি চাকরি বিল, ২০১৮। ওই আইনে সরকারি কর্মচারীদের ফৌজদারি অপরাধ সংঘটনের দায়ে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে তাকে গ্রেপ্তার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এমন আইনের বিরুদ্ধে সরব ছিল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, আইন ও সালিস কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠন ও বিশিষ্টজনেরা। যদিও এমন আইনে গ্রেপ্তার আটকে থাকবে না বলে দাবি করেছেন দুদক চেয়ারম্যান। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এই আইনে যারা খুশি হবে, তারা আসলে বুদ্ধিমান লোক না। গ্রেপ্তারে অসুবিধা নেই। সবই চলবে। আইন দ্বারা দুদকের ক্ষমতা খর্ব হবে না। যারা ঘুষখোর বা নিয়ম লঙ্ঘন করে, তাদের উৎসাহিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

৩ বছরে শেষ হয়নি বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির তদন্ত কাজ: উচ্চ আদালত বারবার নির্দেশনা দেওয়ার পরও তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবদুর হাই বাচ্চুসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া তদন্তকাজে কোনো অগ্রগতি নেই বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায়। ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল, এ সময়ে অনিয়মের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় প্রায় চার বছর অনুসন্ধান শেষে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ৫৬টি মামলা করা হয়। মামলায় আসামি ১৫৬ জন। পরবর্তী সময়ে বেসিক ব্যাংক সংক্রান্ত বিষয়ে করা হয় আরো চার মামলা। তবে কোনো মামলায় ব্যাংকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুসহ পরিচালনা পর্ষদের কাউকে আসামি করা হয়নি। যদিও বাচ্চুকে পঞ্চম দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। অগ্রগতি এ পর‌্যন্তই। অদৃশ্য কারণে অনেক থেমে আছে তদন্তকাজ।

এছাড়া কার্যকর ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে পৃথক গোয়েন্দা ইউনিট, গবেষণা সেল গঠন করার উদ্যোগ ও দুদকের আওতা বৃদ্ধি করতে ১০৭৩ জন নতুন জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্তকরণসহ বেশ কিছু বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়াকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।





রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ ডিসেম্বর ২০১৮/এম এ রহমান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়