ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ওয়ালটন গেমিং ল্যাপটপের দাম কমলো

অগাস্টিন সুজন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৫, ৪ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ওয়ালটন গেমিং ল্যাপটপের দাম কমলো

অগাস্টিন সুজন : ল্যাপটপ। বর্তমান সময়ের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিপণ্য। সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় অফিসিয়াল ও ব্যক্তিগত কাজ কিংবা বিনোদনে ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ ল্যাপটপ। গেম খেলা বা গ্রাফিক্সের ভারী কাজ করার জন্যও বাড়ছে হাই কনফিগারেশনের গেমিং ল্যাপটপের চাহিদা। যার ফলে গেমিং ল্যাপটপের দাম কমিয়েছে দেশিয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন।

ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, তাদের রয়েছে দুই মডেলের ডিজাইন, সিমুলেশন অ্যান্ড গেমিং ল্যাপটপ। যার একটি হলো ওয়াক্সজ্যাম্বু সিরিজের ডব্লিউডব্লিউ১৭৬এইচ৭বি মডেল। শুরুতে যেটির দাম ছিল ৮৯,৫৫০ টাকা। বর্তমানে ল্যাপটপটি পাওয়া যাচ্ছে ৭৯,৯৫০ টাকায়। আর কেরোন্ডা সিরিজের ডব্লিউকে১৫৬এইচ৭বি মডেলের অন্য ল্যাপটপটির দাম ছিল ৭৯,৫৫০ টাকা। হ্রাসকৃত মূল্যে এটি এখন মিলছে ৬৯,৯৫০ টাকায়।

এই দুই মডেলের ল্যাপটপ ৩ মাসের কিস্তিতে নগদ মূল্যে কেনা যাবে। এছাড়াও, মাত্র ২০ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ১২ মাসের কিস্তিতে পাওয়া যাবে ট্যামারিন্ড, প্যাশন ও প্রিলুড সিরিজের অন্যান্য মডেলের ওয়ালটন ল্যাপটপ।

ওয়ালটন কম্পিউটার প্রজেক্ট ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার মো. লিয়াকত আলী জানান, গেমিং ল্যাপটপ বলা হলেও গেম খেলার পাশাপাশি এসব ল্যাপটপ দিয়ে ডিজাইন, সিমুলেশন এবং গ্রাফিক্সের ভারী কাজ করা হয়। ফলে এসব ল্যাপটপ সাধারণত হাই কনফিগারেশনের হয়। এতে অন্যান্য সাধারণ ল্যাপটপের চেয়ে দামটাও বেশি হয়। যার ফলে ইচ্ছে থাকলেও অনেক ক্রেতার জন্য গেমিং ল্যাপটপ কেনা সম্ভব হয় না। এসব বিষয় বিবেচনা করেই সাশ্রয়ী মূল্যের দুই মডেলের গেমিং ল্যাপটপ বাজারে ছাড়ে ওয়ালটন। যা ইতিমধ্যেই গেমার ও প্রফেশনালদের কাছে দারুণভাবে সমাদৃত হয়েছে এবং ক্রেতাদের অনুরোধে গেমিং ল্যাপটপের দাম কয়েক দফা কমানো হয়েছে।’

ওয়ালটনের কম্পিউটার গবেষণা ও উন্নয়ণ বিভাগের প্রধান রাজিব হাসান রাজু জানান, ওয়ালটন গেমিং ল্যাপটপের বিশেষত্ব হলো এর আকর্ষণীয় ডিজাইন। বড় পর্দার ফুল এইচডি আইপিএস ডিসপ্লে। উচ্চগতির কোর আই-সেভেন প্রসেসর। শক্তিশালী র‌্যাম ও গ্রাফিক্স। বেশি জায়গাযুক্ত স্টোরেজ। বাংলা ফন্টযুক্ত কিবোর্ড এবং দীর্ঘ ব্যাটারি ব্যাকআপ।

তিনি আরো জানান, ওয়াক্সজ্যাম্বু সিরিজের ডব্লিউডব্লিউ১৭৬এইচ৭বি মডেলের ল্যাপটপে ব্যবহৃত হয়েছে ১৭.৩ ইঞ্চির বড় পর্দা। আর কেরোন্ডা সিরিজের ডব্লিউকে১৫৬এইচ৭বি মডেলের অন্য ল্যাপটপটির পর্দা ১৫.৬ ইঞ্চির। উভয় ল্যাপটপেই ব্যবহৃত হয়েছে ১৯২০ বাই ১০৮০ পিক্সেল রেজুল্যুশনের ফুল এইচডি আইপিএস এলইডি ব্যাকলিট ডিসপ্লে। যার প্যানেল রেশিও ১৬:৯। ফলে এতে পাওয়া যায় স্পষ্ট ও প্রাণবন্ত ছবি দেখার অভিজ্ঞতা। গেম খেলা, কাজ করা বা মুভি দেখায় মেলে অসাধারণ অনুভূতি। এর ম্যাট ডিসপ্লে প্যানেল আলোর প্রতিফলন রোধ করে। যা চোখকে আরাম দেয়। দীর্ঘক্ষণ গেম খেলা বা কাজ করায় চোখের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে না।



উভয় মডেলের ল্যাপটপের উচ্চগতি নিশ্চিতে আছে ইন্টেলের ষষ্ঠ প্রজন্মের ২.৬ গিগাহার্জ ক্লকরেটের কোর আই-সেভেন ৬৭০০এইচকিউ মডেলের হাই ডেফিনেশন প্রসেসর। এর সঙ্গে রয়েছে ৮ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র‌্যাম। সুযোগ আছে ৩২ জিবি পর্যন্ত র‌্যাম ব্যবহারের। প্রয়োজনীয় গেম, সফটওয়ার, ডকুমেন্ট, মুভি ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য ১ টেরাবাইট হার্ডডিক্স ড্রাইভের সঙ্গে রয়েছে ৯.৫ মিমি সাটা ইন্টারফেস। ফলে প্রয়োজন হলে আরো বেশি জায়গাযুক্ত হার্ডডিক্স ড্রাইভ ব্যবহার করা যাবে।

শক্তিশালী ও ভারী গেম অনায়াসে চলার জন্য উভয় ল্যাপটপে গ্রাফিক্স হিসেবে আছে এনভিডিয়া জিফোর্স জিটিএক্স ৯৬০এম মডেলের ২ গিগাবাইট জিডিডিআর৫ ভিডিও র‌্যাম। পাশাপাশি রয়েছে বিল্ট-ইন ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স ৫৩০। ফলে গেম খেলার সময় উচ্চ গ্র্যাফিক্যাল ইন্টারফেস পাওয়া যায়। ছবি বা ভিডিও এডিটিং কাজের গ্রাফিক্যাল কালার ও মানও হয় অনেক বেশি।

আকর্ষণীয় গেমিং আবহ তৈরিতে দুই মডেলের ল্যাপটপেই আছে হাই ডেফিনেশন অডিও। দুইটি বিল্ট-ইন ২ ওয়াটের স্পিকার থাকায় স্পষ্ট ও জোড়ালো শব্দ পাওয়া যায়। সাউন্ড ব্লাস্টার সিনেমা ২ থাকায় আলাদা স্পিকার ব্যবহারে শব্দের মান অপরিবর্তিত থাকে। হেডফোন ব্যবহারে নিঁখুত শব্দের অভিজ্ঞতা দিতে রয়েছে এএনএসপি থ্রিডি সাউন্ড টেকনোলজি।

দীর্ঘক্ষণ পাওয়ার ব্যাকআপের নিশ্চয়তায় উভয় ল্যাপটপে ব্যবহৃত হয়েছে শক্তিশালী ৬ সেলের স্মার্ট লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। যা সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত পাওয়ার ব্যাকআপ দিতে সমর্থ।

ল্যাপটপ দুটির অন্যান্য বিশেষ ফিচারের মধ্যে আছে এলইডি লাইট সমৃদ্ধ বাংলা ফন্টযুক্ত মাল্টি ল্যাঙ্গুয়েজ ফুল সাইজ কিবোর্ড। স্পষ্ট ভিডিও কল ও আকর্ষণীয় সেলফি তোলার জন্য রয়েছে ২ মেগাপিক্সেলের ফুল এইচডি ক্যামেরা, যাতে এইচডি মানের ভিডিও তোলা সম্ভব। কানেক্টিভিটি ফিচারের মধ্যে আছে ৩টি ইউএসবি ৩ পোর্ট, ১টি ইউএসবি ৩.১। সিক্স-ইন-ওয়ান কার্ড রিডার, মাল্টি ডিভিডি রাইটার, এইচডিএমআই, মিনি ডিসপ্লে পোর্ট ইত্যাদি।

ল্যাপটপের সুরক্ষা নিশ্চিতে আছে সিকিউরিটি লক স্লট। বহুল ব্যবহারেও ল্যাপটপকে আঘাত ও আঁচর থেকে সুরক্ষা দিতে রয়েছে রাবারের আবরণযুক্ত স্ক্র্যাচ ও ডাস্টপ্রুভ বডি।

ওয়াক্সজ্যাম্বু সিরিজের গেমিং ল্যাপটপটির দৈর্ঘ্য ৪১৩ মিমি, ২৮৫ মিমি চওড়া এবং পুরুত্ব ৩১.৯ মিমি। আর ব্যাটারিসহ ওজন ২.৯ কেজি। আর কেরোন্ডা সিরিজের ল্যাপটপটির দৈর্ঘ্য ৩৮৫ মিমি, ২৬৮ মিমি চওড়া এবং পুরুত্ব ২৮.৫ মিমি। ব্যাটারিসহ ওজন ২.৫ কেজি। উভয় মডেলের ল্যাপটপের ব্যাটারির জন্য ৬ মাস এবং অন্যান্য অংশের জন্য থাকছে ২ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ এপ্রিল ২০১৮/অগাস্টিন সুজন/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়