ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কতদিন পর কিবোর্ড পরিষ্কার করা লাগে?

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ২১ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ১৫:১৯, ৩০ মে ২০২১
কতদিন পর কিবোর্ড পরিষ্কার করা লাগে?

প্রতীকী ছবি

আপনার কম্পিউটার কিবোর্ড সম্ভবত টয়লেটের সিটের তুলনায় অধিক নোংরা। অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণায় সাধারণ ডেস্কে টয়লেটের সিটের তুলনায় ৪০০ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে।

টয়লেটের সিটগুলোতে আসলে প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে প্রায় ৫০টি ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা অপেক্ষাকৃত কম জীবাণুর স্থান। একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করেন এমন কম্পিউটার ডেস্কের তুলনায় বলা চলে কম। শিকাগোর একটি হাসপাতালের গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের কম্পিউটার কিবোর্ডগুলোতে এমআরএসএ’র মতো ওষুধ প্রতিরোধক জীবাণু যেমন স্ট্রাইফিলোকক্কাস, ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যমান থাকে। নেদারল্যান্ডের আরেকটি হাসপাতাল তাদের ১০০টি কিবোর্ডের ওপর গবেষণা চালিয়ে ৯৫টি কিবোর্ডে স্ট্রেপটোকক্কাস, স্ট্রাইফিলোকক্কাস এবং অন্যান্য প্যাথোজেনগুলোর উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছে, যা ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে নোংরা স্থান হিসেবে গণ্য হয়েছে।

আমরা কম্পিউটার কতটা ঘন ঘন ব্যবহার করি তা বিবেচনা করে এটা বোঝা যায় যে, প্রতিনিয়ত কি পরিমাণ ময়লা কিবোর্ডে জমা হচ্ছে। অনেকের খাওয়া-দাওয়া চলে কিবোর্ডে ব্যস্ত থেকেই। আর কিবোর্ডের ওপরে সারাদিনের কথা, হাঁচি, কাশি এসব তো থাকেই, যা থেকে জীবাণু প্রবেশ করে কিবোর্ডে।

আপনার কিবোর্ড কখন পরিষ্কার করবেন

বেশিভাগ মাইক্রোবিজ্ঞানীরা একমত হয়েছেন যে, ডেস্ক এবং কিবোর্ড সপ্তাহে অন্তত একবার পরিষ্কার করা উচিত।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ রিসার্চ (এনসিএইচআর) পরামর্শ দিয়েছে, হাসপাতালের কিবোর্ডগুলো আরো অনেক বেশি জীবাণুমুক্ত হবে, যদি প্রতিদিন কমপক্ষে একবার পরিষ্কার করা হয়। এনসিএইচআর আরো জানিয়েছে, একাধিক জন শেয়ার করেন এমন কম্পিউটার ব্যবহারের আগে ও পরে হাত ধোয়া উচিত, বিশেষ করে ফ্লু সিজনের সময়।

আপনি যদি আপনার কম্পিউটারের একমাত্র ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার কিবোর্ডের বেশিরভাগ ব্যাকটেরিয়া আপনার নিজের হাত এবং আঙুল থেকেই আসে, তাই সম্ভবত তা আপনার জন্য ক্ষতিকারক নয়। তারপরও আপনার ডেস্কের স্থানটি আরো নিরাপদ রাখার জন্য আপনার ঘন ঘন হাত ধোয়া উচিত।

কিবোর্ড কিভাবে পরিষ্কার করবেন

কিবোর্ড পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করা খুব সহজ প্রক্রিয়া এবং এটি কার্যকরী। এর জন্য প্রথমে কম্পিউটার বন্ধ করে কিবোর্ডটি আনপ্লাগ করুন এবং কম্প্রেস বাতাস দিয়ে কিবোর্ডের ময়লা দূর করুন।

পরিচ্ছন্ন বিশেষজ্ঞ মেলিসা মেকারের পরামর্শ হচ্ছে, সমপরিমাণ পানি এবং অ্যালকোহল নিয়ে একটি মাইক্রোফাইবার কাপড় দিয়ে কিবোর্ডটি পরিষ্কার করা। এছাড়া আপনি কিউ-টিপ আকৃতির কোনো কিছুতে অ্যালকোহল লাগিয়েও কিবোর্ডের ময়লা পরিষ্কার করতে পারেন।

কিবোর্ড পরিষ্কারের পাশাপাশি স্মার্টফোন পরিষ্কারের বিষয়টিতেও গুরুত্ব দিতে পারেন। যেহেতু স্মার্টফোন আমরা খুব ঘন ঘন ব্যবহার করি এবং সবখানে আমাদের সঙ্গে নিয়ে যাই সেহেতু স্মার্টফোনে ই. কোলি, স্ট্রেপটোকক্কাস এর মতো জীবাণুগুলো সহজেই বিস্তার করতে পারে।

নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের মাইক্রোবায়োলজিস্ট এবং প্যাথোলজিস্ট ফিলিপ টিয়ারনো পরামর্শ দিয়েছেন, আপনার স্মার্টফোনটিকে দিন শেষে ভালো মতো মুছে ফেলার।

ঢাকা/ফিরোজ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়