ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

স্মার্টফোনে হাইপার বুস্ট প্রযুক্তি উন্মোচন করল অপো

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৭, ১৭ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
স্মার্টফোনে হাইপার বুস্ট প্রযুক্তি উন্মোচন করল অপো

অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের হেড অব দ্য সফটওয়্যার রিসার্চ সেন্টার রায়ান চেন

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : স্মার্টফোনে হাইপার বুস্ট প্রযুক্তি নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অপো। হাইপার বুস্ট হলো ফুল সিনারিও; সিস্টেম-লেভেল পারফরম্যান্স বুস্ট ইঞ্জিন, যা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতার উন্নতি এবং শক্তি সাশ্রয় করার মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করবে।

এই উন্নত প্রযুক্তিটি বাজারে নিয়ে আসার আগে বেশ কয়েক বছর যাবৎ এর উন্নয়নে কাজ করা হয়েছে। হাইপার বুস্ট এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা ব্যবহারিক দৃশ্য ও আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসতে সক্ষম হবে। এটি স্মার্টফোনে অপটিমাইজিং সিস্টেম-লেভেল রিসোর্স এর যথাযথ বিন্যাসের জন্য চমৎকার একটি সল্যুশন এবং অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মের সিস্টেম-লেভেলকে আরো শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে অপোর নতুন একটি উদ্যোগ।

অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের হেড অব দ্য সফটওয়্যার রিসার্চ সেন্টার রায়ান চেন বলেন, ‘স্মার্টফোনের পারফরম্যান্স উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৫ সাল থেকে। ধারাবাহিক উন্নয়ন ও বিকাশের ফলাফল হিসেবে অপো হাইপার বুস্ট-এর উন্মোচন দেখতে পারা আমাদের জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়।’

অপো বাংলাদেশ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, ‘স্মার্টফোন উদ্ভাবনের জগতে অপো হাইপার বুস্ট হচ্ছে একটি মাইলফলক। এটি আমাদের উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবনে দীর্ঘমেয়াদি যাত্রার একটি স্বীকৃতি। আমরা সবসময় তরুণ গ্রাহকদের পছন্দ প্রাধান্য দিয়ে থাকি।’

হাইপার বুস্ট, অ্যাপ্লিকেশন এবং সিস্টেম রিসোর্সের মধ্যে রিয়েল-টাইম ‘টু-ওয়ে ডায়ালগস’ এর মাধ্যমে কাজ করে। বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এবং গেম প্রোগ্রাম থেকে, বেশ কিছু সিনারিও এবং ব্যবহারকারীদের আচরণ চিহ্নিত করে, হাইপার বুস্ট সিস্টেম এলোকেশন রিসোর্সকে প্রয়োজন অনুযায়ী সিস্টেম জুড়ে বিকশিত করে। এটি হার্ডওয়্যার রিসোর্সের উত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে, অ্যাপ্লিকেশন ও গেমের সাড়া দানের গতি দ্রুত করে এবং সার্বিক সিস্টেমকে সাবলীল গতি প্রদান করে।

তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত হাইপার বুস্ট স্মার্টফোনের গতিকে কার্যকরভাবে বাড়িয়ে দেয়।

* সিস্টেম ইঞ্জিন : হাইপার বুস্ট কোয়ালকম ও মিডিয়াটেক প্ল্যাটফর্মে সিস্টেম-লেভেল অপটিমাইজ করে। এই প্রযুক্তিটি ২০টিরও বেশি সফটওয়্যার সিনারিও ও ২০টিরও বেশি সফটওয়্যারের আচরণ নিয়ন্ত্রণকারী হার্ডওয়্যারর রিসোর্সকে কার্যকরভাবে অপটিমাইজ করার জন্য ৫০টিরও বেশি সমাধান দিয়ে থাকে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা প্রায় সকল ক্ষেত্রে একটি মসৃণ ও নির্ভরযোগ্য অভিজ্ঞতা পেয়ে থাকেন। এই অপটিমাইজেশনের ফলে সাধারণ অ্যাপ্লিকেশনগুলোর লোড হতে প্রায় ৩১.৯১ শতাংশ কম সময় লাগে।

* গেম ইঞ্জিন : টেন্সেন্ট ও নেটিজ এবং আনরিয়েল, ইউনিটি ও কোকোস-এর মতো গেম ইঞ্জিনের সঙ্গে যেসব স্মার্টফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান শুরু থেকে কাজ করে আসছে, তার মধ্যে অপো অন্যতম। অপো তাই শীর্ষ ১০০টি মোবাইল গেমসে দক্ষতার সঙ্গে অভ্যন্তরীণ অপটিমাইজেশন ঘটিয়ে থাকে। অপোর গেম ইঞ্জিন সবচাইতে জনপ্রিয় ১১টি মোবাইল গেমে অপটিমাইজেশন সুবিধা দিয়ে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে ‘অনার অব কিংস’ ও ‘পিইউবিজি’। এর পলিমরফিক নেটওয়ার্ক এক্সিলারেশন টেকনোলজি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সেলুলার ও ওয়াই-ফাই ডেটা নেটওয়ার্ক চ্যানেলের মধ্যে ট্র্যাফিক বন্টন করতে পারে। এই অপটিমাইজেশন প্রযুক্তি নেটওয়ার্কের সুপ্তাবস্থা কমিয়ে এনে আরামদায়ক ও মসৃণ একটি গেমিং অভিজ্ঞতা উপহার দেয়।

* অ্যাপ্লিকেশন ইঞ্জিন : হাইপার বুস্ট সবার প্রথমেই উইচ্যাট, মোবাইল টাওবাও ও মোবাইল কিউকিউ-এর মতো প্ল্যাটফর্ম লেভেল অ্যাপ্লিকেশগুলোকে অপটিমাইজ করার জন্য কাজ করে। এই প্রযুক্তি ৩৯টি সাধারণ পরিস্থিতিতে এই ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশনগুলোয় নাটকীয় গতিময়তা নিয়ে আসে।

বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে অপো এই অপটিমাইজেশন ইঞ্জিনগুলোকে ডিভাইস, চিপ প্ল্যাটফর্মস ও ইন্ডাস্ট্রি চেইনের নানা অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে যুক্ত করায় এই প্রযুক্তিটি অভ্যন্তরীণ অপটিমাইজেশনের মাধ্যেম স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের একটি পুরোপুরি উন্নত অভিজ্ঞতা যোগান দেয়।

অপো বরাবরই ব্যবহারকারীদের চাহিদা ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ওপর জোর দিয়ে আসছে। ফাস্ট চার্জিং ও ইমেজ ফটোগ্রাফি অপোর দুটি শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য, যা তাদেরকে জোরালো অবস্থানে রেখেছে। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে অপো ফাইভজি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) নিয়েও কাজ শুরু করেছে। এ বছর অপো প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অসামান্য অবদান রেখেছে, যার মধ্যে রয়েছে হাইপার বুস্ট, আলট্রা-ক্লিয়ার নাইট সিন, সুপার ভিওওসি ফাস্ট চার্জিং, থ্রিডি স্ট্রাকচার্ড লাইট ও টিওএফ। এছাড়াও রিফিটেড আর১৫ স্মার্টফোনের মাধ্যমে ফাইভজি সিগনালিং ও ডেটা লিংকিং পরীক্ষা ফাইভজি স্মার্টফোন প্রযুক্তির অগ্রগতি নির্দেশ করে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ অক্টোবর ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়