‘ক্লান্ত’ ডি ভিলিয়ার্স বিদায় বললেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর দেখা যাবে না এবি ডি ভিলিয়ার্সকে
ক্রীড়া ডেস্ক : আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স।
আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে মৌসুম শেষ করার মাত্র চার দিন পর হঠাৎ করেই এই ঘোষণা দিলেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। আজ টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় ৩৪ বছর বয়সি ডি ভিলিয়ার্স বলেছেন, তিনি ‘ক্লান্ত’।
ডি ভিলিয়ার্স বলেছেন, ‘তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। ১১৪ টেস্ট, ২২৮ ওয়ানডে ও ৭৮টি টি-টোয়েন্টি খেলার পর আমার মনে হচ্ছে, অন্যদের এগিয়ে আসার এটাই সময়। আমার সময়টা শেষ, সত্যি কথা বলতে আমি ক্লান্ত।’
সিদ্ধান্তটা সহজ ছিল না বলেই জানালেন ওয়ানডের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান, ‘এটা কঠিন একটি সিদ্ধান্ত। অনেক দীর্ঘ সময় আমি এটা নিয়ে ভেবেছি এবং দারুণ ক্রিকেট খেলার সময়ই আমি অবসর নিতে চাই। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণ দুটি সিরিজ জয়ের পর আমার মনে হয়েছে, সরে দাঁড়ানোর এটাই সঠিক সময়।’
২০০৪ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়া ডি ভিলিয়ার্স বলেছেন, ‘কখন, কোথায়, কোন ফরম্যাটে প্রোটিয়াদের হয়ে খেলব- এটা বেছে নেওয়াটা আমার জন্য ঠিক হতো না। যদি সবুজ-সোনালির হয়ে খেলতেই হয়, তবে সব খেলব নয়তো কিছুই না। এত বছর ধরে আমাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ও স্টাফদের কাছে আমি সব সময় কৃতজ্ঞ থাকব। ক্যারিয়ারজুড়ে যত সতীর্থ পেয়েছি, তাদের সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ। এতগুলো বছর যে সমর্থন পেয়েছি, সেটা না পেলে আমি এখন যে ক্রিকেটার তার অর্ধেকও হতে পারতাম না।’
‘এটা অন্য কোথাও অর্থ উপার্জনের বিষয় নয়, এটা জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার এবং আমার মনে হয়েছে, সরে যাওয়ার এটাই সঠিক সময়। সবকিছুই একসময় শেষ হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ও বিশ্বের সব ক্রিকেট ভক্তদের আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, আপনাদের দয়া, উদারতা এবং আজ এই পরিস্থিতি বুঝতে পারার জন্য’- বলেন ডি ভিলিয়ার্স।
বিদেশি লিগগুলোতে না খেলারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি, ‘আমার দেশের বাইরে খেলার কোনো ইচ্ছা নেই। আশা করি, টাইটানসের হয়ে আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাব। প্রোটিয়া ও ফাফ ডু প্লেসিদের জন্য আমার সমর্থন সব সময়ই থাকবে।’
টেস্টে ৫০.৬৬ গড়ে ডি ভিলিয়ার্সের রান ৮ হাজার ৭৬৫। ২২টি সেঞ্চুরির (যার দুটি ডাবল) সঙ্গে আছে ৪৬টি হাফ সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ ইনিংস অপরাজিত ২৭৮, ২০১০ সালে আবুধাবিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে। লাল বলে হাত ঘুরিয়ে ২টি উইকেটও আছে তার।
ওয়ানডেতে তিনি ৯ হাজার ৫৭৭ রান করেছেন ৫৩.৫০ গড়ে। ২৫টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ফিফটি আছে ৫৩টি। সর্বোচ্চ ইনিংস ১৭৬, ২০১৭ সালে পার্লে বাংলাদেশের বিপক্ষে। হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন ৭টি উইকেট। আর টি-টোয়েন্টিতে ২৬.১২ গড়ে করেছেন ১ হাজার ৬৭২ রান। সেঞ্চুরি না থাকলেও আছে ১০টি ফিফটি।
I’ve made a big decision today pic.twitter.com/In0jyquPOK
— AB de Villiers (@ABdeVilliers17) May 23, 2018
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ মে ২০১৮/পরাগ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন