ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

দারুণ জয়ে সমতা ফেরাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দারুণ জয়ে সমতা ফেরাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ইয়াসিন হাসান, মিরপুর থেকে: দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে বাংলাদেশ তোলে ২৫৫ রান। জবাবে ২ বল আগে হাতে ৪ উইকেট রেখে জয় নিশ্চিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

প্রথম ওয়ানডে জিতে বাংলাদেশ সিরিজে এগিয়ে ছিল। দারুণ জয়ে সিরিজে সমতা আনল সফরকারীরা। ১৪ ডিসেম্বর সিলেটে শেষ ওয়ানডেতে হবে সিরিজের মীমাংসা।

স্কোর: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫৬/৬ (৪৯.৪ ওভার)

বাংলাদেশ ২৫৫/৭ (৫০ ওভার)।

ব্যবধান গড়ে দিলেন শাই হোপ

স্কোরবোর্ডে লড়াকু পুঁজি নিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ হাসিটা হাসতে পারেনি। ব্যাটিং-বোলিংয়ে দুই বিভাগেই স্বাগতিকদের থেকে এগিয়ে ছিল ক্যারিবীয়ানরা। তাইতো জয়টা তাদের পক্ষেই গিয়েছে।

আধুনিক ক্রিকেটে ২৫৫ রান তাড়া করে জয় বড় কোনো বিষয় নয়। কিন্তু বাংলাদেশের দারুণ বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পথ হারিয়েছিল বারবার। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে বাংলাদেশ এ রানও বিশাল করে তুলেছিল সফরকারীদের জন্য।

ব্যতিক্রম ছিলেন একমাত্র শাই হোপ। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি তুলে একাই ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন। ১৪৪ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ১৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন ডানহাতি ওপেনার। তার একার কাছেই হার মেনেছে পুরো বাংলাদেশ। তাইতো ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।

টার্ণিং পয়েন্ট!

জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে ২২ রান লাগত ওয়েস্ট ইন্ডিজের। আগের ৯ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে মুস্তাফিজ পেয়েছিলেন ২ উইকেট। ৪৯তম ওভারে মাশরাফি তার হাতে তুলে দেন বল। কিন্তু ওই ওভারেই পাল্টে গেল ম্যাচের চিত্র। তিন বাউন্ডারিসহ নিজের শেষ ওভারে মুস্তাফিজ খরচ করেন ১৬ রান। ম্যাচের টার্ণিং পয়েন্ট হতে পারে এটাই। শেষ ওভারে ওই রান ডিফেন্ড করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। চতুর্থ বলে জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

রোমাঞ্চ ছড়ানোর অপেক্ষা

শেষ ৩০ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩৮ রান। শেষ রোমা্ঞ্চের অপেক্ষায় দ্বিতীয় ওয়ানডে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতে গেলে সিরিজে সমতা আসবে। বাংলাদেশ জিতে গেলে জিতবে সিরিজ।  

কঠিন ক্যাচ ছাড়লেন নাজমুল

মিরাজের বলে স্লগ সুইপ করেছিলেন কেমু পল। বল উঠে যায় ডিপ মিড উইকেটে।  দৌড়ে, ড্রাইভ দিয়ে বল তালুবন্দি করতে চেয়েছিলেন নাজমুল ইসলাম অপু। ইমরুলের পরিবর্তে ফিল্ডিং করা নাজমুল বল তালুবন্দি করেও ধরে রাখতে পারেননি। ৬ রানে কেমু পলকে জীবন দিলেন নাজমুল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুইশ

৪২তম ওভারের প্রথম বল, রুবেলের শর্ট বল পুল করে বাউন্ডারিতে পাঠালেন সেঞ্চুরিয়ান শাই হোপ। ১৯৬ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান পৌঁছে যায় দুইশতে।

হোপের সেঞ্চুরি

ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন শাই হোপ। দারুণ ব্যাটিং করছিলেন শুরু থেকেই। একপ্রান্তে সতীর্থরা যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে তখন হোপ থিতু হয়ে বাংলাদেশের বোলারদের শাসন করছিলেন। সেঞ্চুরিটা তার প্রাপ্যই ছিল। ৬৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি ছোঁয়া সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ১১৮ বলে। সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে দারুণ জবাব দিয়েছেন হোপ। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেন কিনা সেটাই দেখার।

চেজের উইকেট নিলেন মুস্তাফিজ

নিয়মিত বিরতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে আঘাত করছেন বাংলাদেশের বোলাররা। এবার মুস্তাফিজের শিকার রোস্টন চেজ। তার দূর্বোধ্য কাটারে উড়াতে গিয়ে মিড অনে তামিমের হাতে ক্যাচ দেন ১৮ বলে ৯ রান করা চেজ। তার আউটের সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৬ উইকেটে ১৮৫। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আরও ৭১ রান।

মাশরাফির দুইয়ে দুই

প্রথম ম্যাচে রোভম্যান পাওয়েলের উইকেট নিয়েছিলেন মাশরাফি। দ্বিতীয় ম্যাচেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের উইকেট পেলেন মাশরাফি। ডানহাতি পেসারের লেন্থ বল তুলে মারতে গিয়ে রোভম্যান ক্যাচ দেন মিড অনে সৌম্যর হাতে। ১ রান আসে ক্যারিবীয় অধিনায়কের ব্যাট থেকে। তার আউটের সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৫ উইকেটে ১৫৭। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আরও ৯৯ রান।

এবার হলো না

আগের ওভারে রুবেলের বলে হেটমায়ারের ক্যাচ ছেড়েছিলেন ইমরুল। বুকে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার পরিবর্তে ফিল্ডিং করছেন নাজমুল ইসলাম অপু। পরের ওভারে রুবেলের একই বল, হেটমায়ারের একই শট। পার্থক্য বল গেল স্কয়ার লেগে। অপু মিস করলেন না। শূন্য রানে জীবন পাওয়া হেটমায়ার ফিরলেন ১৪ রানে। তার আউটের সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ১৫৫। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আরও ১০১ রান।

হেটমায়ারকে জীবন দিলেন ইমরুল

রুবেলের বাউন্সারে হেটমায়ারের বাজে শট। বল গেল শর্ট ফাইন লেগে। শূণ্যে থাকা বল তালুবন্দি করতে ব্যর্থ ইমরুল। রানের খাতা না খোলা হেটমায়ারকে জীবন দিলেন ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হওয়া ইমরুল। বুকে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি।

মুস্তাফিজের প্রথম উইকেট

৩০তম ওভারের শেষ বলে মারলন স্যামুয়েলসকে সাজঘরের পথ দেখালেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসারের দারুণ এক কাটারে খোঁচা লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন স্যামুয়েলস। ৪৫ বলে ২৬ রান করেন স্যামুয়েলস । তার ফেরার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৩ উইকেটে ১৩২।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের একশ

দলীয় একশ ছুঁয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর। ২৪ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ২ উইকেটে ১০০ রান। শাই হোপ ৫৩ ও মারলন স্যামুয়েলস ১৪ রানে অপরাজিত আছেন।

হোপের ফিফটি

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নিয়েছেন শাই হোপ। ৬৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ফিফটি পূর্ণ করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

জুটি ভাঙলেন রুবেল

মাশরাফিকে দুই ছক্কা মেরে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেছিলেন ব্রাভো ও হোপ। এক ওভার পর বোলিংয়ে পরিবর্তন আনলেন মাশরাফি। নিজেকে সরিয়ে অধিনায়ক রুবেলের হাতে তুলে দেন বল। প্রথম ওভারেই রুবেলের সাফল্য। ব্রাভোকে বোল্ড করে ডানহাতি পেসার বাংলাদেশ শিবিয়ে ফিরিয়ে আনেন স্বস্তি। ৪৩ বলে ২৭ রান করে ফিরেছেন ব্রাভো। তার ফেরার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ২ উইকেটে ৭০।

ব্রাভো-হোপে এগোচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েছেন ড্যারেন ব্রাভো ও শাই হোপ। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মাশরাফিকে ছক্কা মেরে শাই হোপ দলের পঞ্চাশ রান পূর্ণ করেন। পরের বলে এক রানে দুজনের জুটির পঞ্চাশ রান পূর্ণ হয়। উদ্বোধনী জুটি দ্রুত ভাঙলেও দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ব্রাভো ও হোপ।

 

 

প্রথম ওভারেই মিরাজের উইকেট

কাইরন পাওয়েলের পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছিলেন চন্দরপল হেমরাজ। কিন্তু বাঁহাতি ওপেনার সুযোগটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ। মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন ৩ রানে। লড়াকু পুঁজি নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বধের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। শুরুতেই মিরাজ এগিয়ে নিল বাংলাদেশকে। তার আউটের সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১ উইকেটে ৬।

লড়াকু পুঁজি বাংলাদেশের

ব্যাটিংয়ের শুরুতে ওশানে থমাসের জোড়া ধাক্কা। চোট পেয়ে লিটন বাইরে। ডানহাতি পেসারের শিকার ইমরুল (০)। চাপ সামলে তামিম (৫০) ও মুশফিকের (৬২) জোড়া ফিফটিতে বাংলাদেশ পায় শতরানের জুটি। ৭ রানের ব্যবধানে দুজন সাজঘরে ফিরলে মন্থর গতিতে রান তোলে বাংলাদেশ। এক সময়ে ৩৮ বলে কোনো বাউন্ডারি পায়নি বাংলাদেশ।

সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর দৃঢ়তায় দুইশ পেরোয় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ (৩০) গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হাল ছেড়ে দিলেও সাকিব ছিলেন নজরকারা। শেষটায় ঝড় তুলে সাকিব (৬৫) বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন সম্মানজনক স্কোর। রান পাননি সৌম্য সরকার (৬)। ফিরে এসে লিটনও (৮) ছিলেন নড়বড়ে। সব মিলিয়ে আশানুরূপ হয়নি ব্যাটিং পারফরম্যান্স। তবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লড়াকু পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। মাশরাফি ৬ ও মিরাজ ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন।  

ভালো বোলিংয়ে ফিরল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

শুরুতে হোঁচট খাওয়ার পর মাঝে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখছিল স্বাগতিকরা। সেই পথে এগোচ্ছিল একটু একটু করে। কিন্তু মাঝে ও শেষটায় দারুণভাবে ফিরে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বোলারদের ভালো বোলিংয়ে লক্ষ্য নাগালে রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

 



রোচের বলে বোল্ড সাকিব

একাধিক স্লোয়ারে সাকিবকে বিভ্রান্ত করছিলেন কেমার রোচ। শেষ পর্যন্ত স্লোয়ারেই কাটা পড়ল সাকিবের উইকেট। ৬২ বলে ৬৫ রান করা সাকিব বোল্ড হয়ে ফিরলেন ৪৭তম ওভারের শেষ বলে। ৬ চার ও ১ ছক্কায় সাজিয়েছেন ইনিংসটি। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ২৩৯।

টিকলেন না লিটন

চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন ইনিংসের শুরুতে। শেষ দিকে আবার উইকেটে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটন দাস। পলকে উড়াতে গিয়ে হেটমায়ারের দারুণ ক্যাচে ফেরেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান (১৪ বলে ৮)।

সাকিবের ফিফটি

আগের বলে জীবন পেয়েছিলেন ‘নো’ বলের কল্যাণে। পরের বলটা ফ্রি-হিট পেয়ে ওশানে টমাসকে পুল করে ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে আছড়ে ফেলে ফিফটি পূর্ণ করেন সাকিব।৫৪ বলে ফিফটি করতে ৪টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি।  

জীবন পেলেন সাকিব

ওশানে টমাসের বলে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে টমাস ‘নো’ বল করায় বেঁচে যান সাকিব। তখন ৪৬ রানে ব্যাট করছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।  

 



টিকলেন না সৌম্য

মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি সৌম্য সরকার। ওশানে টমাসকে আপার কাট করেছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, কিন্তু সীমানা পার করতে পারেননি। ধরা পড়েন থার্ডম্যানে (৮ বলে ৬)। তখন বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ২০৮। শুরুতে চোট নিয়ে মাঠ ছেড়ে যাওয়া লিটন দাস ফিরেছেন উইকেটে।

মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে ভাঙল জুটি

মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি ভেঙেছে। রোভম্যান পাওয়েলের অফ স্টাম্পের বল পুল করতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু এজ হয়ে বল উঠে যায় আকাশে। বৃত্তের ভেতর সহজ ক্যাচ নেন শিমরন হেটমায়ার। ৫১ বলে ৩ চারে ৩০ রান করেন তিনি। তখন বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১৯৩। সাকিবের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সৌম্য সরকার।  

সাকিব-মাহমুদউল্লাহ জুটির পঞ্চাশ

চতুর্থ উইকেটে ফিফটি রানের জুটি গড়েছেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ। ৭৭ বলে ছুঁয়েছে জুটির পঞ্চাশ। ১৩২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি বেঁধেছিলেন এই দুজন।  

৩৮ বল পর বাউন্ডারি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে মন্থর গতিতের রান উঠছে। দুই ব্যাটসম্যান রান তুলতে হিমশীম খাচ্ছেন। ৩৮ বল পর প্রথম বাউন্ডারি পেল বাংলাদেশ। ৩০তম ওভারের প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহ চার মেরেছিলেন কেমার রোচকে। এরপর ৩৮ বলে কোনো বাউন্ডারি নেই। ৩৭তম ওভারের পঞ্চম বলে রোভম্যান পাওয়েলকে চার মেরে বাউন্ডারি খরা কাটিয়েছেন ওই মাহমুদউল্লাহই।

 





বাংলাদেশের দেড়শ

কেমার রোচের করা ৩১তম ওভারের চতুর্থ বলে এক রান নিলেন মাহমুদউল্লাহ। ১৪৯ থেকে বাংলাদেশের রান পৌঁছে গেল ১৫০ রানে। এর আগে ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে একশ এবং দশম ওভারের চতুর্থ বলে পঞ্চাশ রানে পৌঁছে বাংলাদেশের রান। 

ফিরে এসে ওশানের উইকেট

প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ২১ রানে ওশানে থমাস নিয়েছিলেন ইমরুলের উইকেট। ২৫তম ওভারে তাকে ফের বোলিংয়ে আনেন রোভম্যান। ফিরে এসেই সাফল্য পেয়েছেন ডানহাতি পেসার। তার অফস্ট্যাম্পের বাইরের বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৮০ বলে ৬২ রান করা মুশফিক। ৫ বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজালেও ইনিংসটি শেষ হয়েছে বাজে শটে। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১৩২। ৭ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারাল বাংলাদেশ।

ফিফটি ছুঁয়ে ফিরলেন তামিম

ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসটি বড় করতে পারলেন না তামিম। লেগ স্পিনার দেবেন্দ্র বিশুর বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে রোচের হাতে ক্যাচ দেন এ বাঁহাতি। ৬৩ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় সাজান ৫০ রানের ইনিংসটি। তার ফেরার সময় বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১২৫। তামিম ও মুশফিকের ‍জুটি হয়েছিল ১১১ রানের।

তামিমেরও হাফ সেঞ্চুরি

ইমরুলকে হারানোর পর মুশফিককে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন তামিম। দুজন দ্যুতি ছড়িয়ে দলের রানের চাকা সচল রেখেছেন। চারে নামা মুশফিক ২১তম ওভারে পান হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ। ২৩তম ওভারের তৃতীয় বলে তামিমের ইনিংস হাফ সেঞ্চুরি স্পর্শ করে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার ৪৩তম হাফ সেঞ্চুরি। ৬১ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন তামিম।
 

তামিম-মুশফিক কীর্তি

বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সবথেকে বেশি শতরানের জুটি গড়েছেন তামিম ও মুশফিক। ২২তম ওভারে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ২ রান। ওই দুই রানে বাংলাদেশের স্কোর পৌঁছায় ১১৫ রানে। দলীয় ১৪ রানে ইমরুল সাজঘরে ফেরার পর তামিম ও মুশফিক জুটি বাঁধেন। এর আগে চারবার তাদের জুটির রান তিন অঙ্ক ছাড়ায়। এবার তাদের জুটির শতরান উঠেছে রেকর্ডবুকে। সাকিব ও মুশফিকের চারটি জুটি পেয়েছে শতরানের স্বাদ।

মুশফিকের ৩২তম হাফ সেঞ্চুরি

২১তম ওভারের শেষ বলে এক রান নিয়ে ৩২তম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন মুশফিকুর রহিম। ৬২ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশের একশ

রোভম্যান পাওয়েলের করা ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে এক রান নিলেন মুশফিকুর রহিম। ৯৯ রান থেকে বাংলাদেশের রান পৌঁছে গেল শতরানে। বাংলাদেশ পঞ্চাশ রান পেয়েছিল দশম ওভারের চতুর্থ বলে। 

ফিল্ডিং গড়মিলে নো বল

পরপর দুই ওভারে ফিল্ডিংয়ে গড়মিল করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কেমো পলের করা ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে প্রথম ফিল্ডিংয়ে গড়মিল করে ক্যারিবীয়রা। নিয়ম অনুযায়ী ১১ থেকে ৪০ ওভার পর্যন্ত চারজন ফিল্ডার বাইরে থাকবে। কিন্তু সার্কেলের বাইরে ওই সময়ে ছিল পাঁচ ফিল্ডার। ক্রিজে থাকা মুশফিক ও তামিম বিষয়টি আম্পায়ারকে জানান। পরের ওভারের প্রথম বলে আবার একই ঘটনা। এবার আলীম দার নো বল কল করেন। তবে ফ্রি হিটে কোনো রান পাননি মুশফিক।

জুটির পঞ্চাশ

ইমরুল ফেরার পর তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন তামিম ও মুশফিক। ১২তম ওভারের তৃতীয় বলে জুটির পঞ্চাশ রান পূর্ণ হয় এ দুই ব্যাটসম্যানের।

লিটনকে নিয়ে সুখবর

ডানপায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়ে ম্যাচের শুরুতেই স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়েন লিটন। এক্সরে করাতে গিয়েছিলেন স্টেডিয়ামের সন্নিকটে ডিজিল্যাবে। এক্স রে’তে কোনো চিড় ধরা পড়েনি। মাঠে ফিরে এসেছেন এ ব্যাটসম্যান। ব্যথা কমলে ব্যাটিং করার সম্ভাবনা রয়েছে তার।

জুটির পঞ্চাশ

দলীয় ১৪ রানে ইমরুল ফেরার পর দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন তামিম ও মুশফিক। ১২তম ওভারের তৃতীয় বলে জুটির পঞ্চাশ রান পূর্ণ হয় এ দুই ব্যাটসম্যানের।

বাংলাদেশের পঞ্চাশ

১০ ওভার ৪ বলে দলীয় পঞ্চাশ ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। এই ওভারে আসে ইনিংসের প্রথম ছক্কাও। কিমো পলকে লং অনের ওপর দিয়ে আছড়ে ফেলেন তামিম। পরের বলে একই জায়গা দিয়ে মারেন চার।

১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ৬১ রান। তামিম ৩০ ও মুশফিকুর রহিম ১৬ রানে অপরাজিত আছেন।

এক্স রে করাতে ডিজিল্যাবে লিটন

ডানপায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে মাঠ ছেড়েছেন লিটন। এক্সরে করাতে স্টেডিয়ামের সন্নিকটে ডিজিল্যাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার ওশানে থমাসের ভয়ংকর ইয়র্কারে গোড়ালিতে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন এ ওপেনার। তখন তার রান ছিল ৫।

ইমরুলের ডাক

লিটনের চোটে তামিমের সঙ্গে শুরুতেই ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু ইনফর্ম ইমরুল বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। থমাসের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন শূন্য রানে। ক্যারিয়ারে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার শূন্য রানে ফিরলেন ইমরুল। এর আগে ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকাতেই ডাক মেরেছিলেন এ বাঁহাতি। তার ফেরার সময় বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১৪।



চোটে মাঠের বাইরে লিটন

ওশানে থমাসের ফ্রি হিটে দারুণ বাউন্ডারি মেরেছিলেন লিটন। কিন্তু ডানহাতি ব্যাটসম্যান বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। থমাসের ভয়ংকর এক ইয়র্কারে ডানপায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন। স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। লিটনের পরিবর্তে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন ইমরুল কায়েস।

টস

প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জিতেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। তবে এবার বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক।

বাংলাদেশ অপরিবর্তিত, ওয়েস্ট ইন্ডিজের এক পরিবর্তন

প্রথম ম্যাচের একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাদশে একটি পরিবর্তন হয়েছে। ওপেনার কিরণ পাওয়েলের পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন চন্দরপল হেমরাজ।  

বাংলাদেশ একাদশ

তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাশ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ

চন্দরপল হেমরাজ, শাই হোপ, ড্যারেন ব্রাভো, মারলন স্যামুয়েলস, শিমরন হেটমায়ার, রস্টন চেজ, রোভম্যান পাওয়েল, দেব্রেন্দ্র বিশু, কেমু পল, কেমার রোচ ও ওশানে থমাস।


মাইলফলক ছুঁলেন মাশরাফি

ওয়ানডেতে হাবিবুল বাশার সুমন বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ ৬৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মঙ্গলবার মাশরাফি মিরপুরে টস করতে নামার মধ্য দিয়ে ছুঁয়ে ফেললেন হাবিবুলকে। ৬৮ ওয়ানডেতে মাশরাফির জয় ৩৯টি। ৬৯ ম্যাচে হাবিবুলের জয় ছিল ২৯টি।

পঞ্চপান্ডবের একশ

মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- বাংলাদেশ ক্রিকেটের পঞ্চপাণ্ডব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তারা মাঠে নামলেন একসঙ্গে। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে একসঙ্গে একশ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়লেন তারা। তাদের অংশগ্রহণে ৯৯ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৪৭টি, হেরেছে ৪৮টি। ফলাফল আসেনি ৪ ম্যাচে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘পাঁচক’-র কীর্তি খুব বেশি নেই। এর আগে ৬৪ ‘পাঁচক’আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বাংলাদেশে এবারই প্রথম।

২৪তম সিরিজ জয়ের হাতছানি

এর আগে ওয়ানডেতে ২৩টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতেছে তিনটি। ২৪তম সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আতিথেয়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ ডিসেম্বর ২০১৮/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়