ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

নিউজিল্যান্ডকে ২২৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:১৯, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নিউজিল্যান্ডকে ২২৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক : নেপিয়ার থেকে ক্রাইস্টচার্চ- বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের চিত্রনাট্য একই। আবারো নিউজিল্যান্ডের পেস বোলিংয়ের সামনে ধুঁকল বাংলাদেশের ব্যাটিং। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর আবারো ত্রাতা হয়ে দেখা দিলেন মোহাম্মদ মিথুন। রান পেলেন সাব্বির রহমান।এই দুজনের ব্যাটে বাংলাদেশ পেল লড়াই করার মতো পুঁজি।

ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর চারটায় শুরু হওয়া দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ৪৯.৪ ওভারে ২২৬ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে নিউজিল্যান্ডের চাই ২২৭ রান।

টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম ম্যাচের একাদশ অপরিবর্তিত রেখে খেলতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা এবারও ভালো হয়নি। সাত ওভারের মধ্যেই হারিয়ে ফেলে দুই ওপেনারকে।

ট্রেন্ট বোল্টকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে লোকি ফার্গুসনের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরেন লিটন দাস (৪ বলে ১)। এরপর বৃষ্টিতে কয়েক মিনিটের জন্য খেলা বন্ধ ছিল। খেলা শুরু হওয়ার পরই ফেরেন তামিম ইকবাল। ম্যাট হেনরির বলে এলবিডব্লিউ হন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান (২৮ বলে ৫)।

১৬ রানেই দুই ওপেনারকে হারানোর পর প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন সৌম্য সরকার ও মিথুন। কিন্তু প্রথম ম্যাচের মতো ভালো শুরুর পর এদিনও ইনিংস বড় করতে পারেননি সৌম্য। দলীয় ৪৮ রানে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে সৌম্য ক্যাচ দেন স্লিপে রস টেলরের হাতে। ২৩ বলে ৩টি চারে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান করেন ২২ রান।

মাশরাফি বিন মুর্তজার পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ২০০তম ওয়ানডে খেলতে নামার উপলক্ষটা রাঙাতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। দুবার জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি ডানহাতি ব্যাটসম্যান। প্রথম ম্যাচের মতো আবারো অফ স্টাম্পের বল টেনে বোল্ড হন উইকেটকিপার এই ব্যাটসম্যান (৩৬ বলে ২৪)।



মুশফিকের পর মাহমুদউল্লাহ ফেরেন দ্রতই। টড অ্যাস্টলের শর্ট বলে ডানহাতি ব্যাটসম্যান ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে (৮ বলে ৭)। তখন ৯৩ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন মিথুন। ষষ্ঠ উইকেটে সাব্বিরকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গড়েন ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৫ রানের জুটি।

ব্যক্তিগত ৪৭ থেকে অ্যাস্টলকে পরপর ছক্কা ও চার হাঁকিয়ে মিথুন তুলে নেন টানা দ্বিতীয় ফিফটি, ৬৫ বলে। ফিফটির পর অবশ্য ইনিংস আর বড় করতে পারেননি ডানহাতি ব্যাটসম্যান। অ্যাস্টলের পরের ওভারেই বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৬৯ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় মিথুন করেন ৫৭ রান। অবশ্য ইনিংসটি খেলতে ভাগ্যের ছোঁয়াও পেয়েছেন। ৫ রানে স্লিপে তার ক্যাচ ফেলেছিলেন টেলর।

১৬৮ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর দলের স্কোর দুইশ পার হয়েছে মূলত সাব্বিরের কল্যাণে। সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজের (১৬) সঙ্গে ২২ ও অষ্টম উইকেটে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের (১০) সঙ্গে ১৬ রানের দুটি জুটি গড়েন সাব্বির। কিন্তু সাব্বিরের ৪৩ রানের ইনিংসটা শেষ হয় জেমস নিশামকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে। ৬৫ বলে ৭ চারে ইনিংসটি সাজান ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

মাশরাফি ও মুস্তাফিজুর রহমান শেষ উইকেটে ১৫ রানের জুটি গড়লেও পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেননি। দুই বল বাকি থাকতে নিশামের বলে বোল্টের দারুণ ক্যাচে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মাশরাফি (১৮ বলে ১৩)। ১২ বলে ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মুস্তাফিজ।

১০ ওভারে ৪৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সেরা বোলার ফার্গুসন। নিশাম ও অ্যাস্টল নেন ২টি করে উইকেট। হেনরি, বোল্ট ও ডি গ্র্যান্ডহোমের শিকার একটি করে উইকেট।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়