ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘ওয়ালটন আমার ধারণাই পাল্টে দিয়েছে’

জাকির হুসাইন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৯, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ওয়ালটন আমার ধারণাই পাল্টে দিয়েছে’

লাখ টাকায় কেনা ওয়ালটন পণ্যসহ মো. শাহাদাৎ হোসেন (ডান থেকে তৃতীয়)

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘বিভিন্ন কোম্পানির অফার নিয়ে এতদিন আমার সন্দেহ ছিল। ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে বুঝতে পারলাম আর সব কোম্পানির চেয়ে আলাদা ওয়ালটন। তারা তাদের প্রতিশ্রুতি মতো কথা রেখেছে। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী ফ্রিজ কিনে এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছি। তাছাড়া জানতে পারলাম, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই আমার মতো একাধিক ব্যক্তি এ ধরনের উপহার পাচ্ছেন। ওয়ালটন আমার ধারণাই পাল্টে দিয়েছে। ধন্যবাদ ওয়ালটন কোম্পানিকে।’

কথাগুলো গার্মেন্টস কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেনের। গত ৮ জানুয়ারি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পান তিনি। যা তিনি প্রথমে বিশ্বাস করছিলেন না। তবে পুরস্কারের বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার পর উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি।

মো. শাহাদাৎ হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায়। তবে জীবিকার সন্ধানে ১৫ বছর ধরে ঢাকায় আছেন। ঢাকার তুরাগ থানার নিশাদ নগর ইউনিয়নের ভাটুরি গ্রামে স্ত্রী এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বসবাস করছেন। বাসার পাশেই একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন তিনি।

মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘বাসায় টিভি, রাইস কুকার, প্রেসার কুকারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সবই আছে। ফ্রিজও ছিল। তবে এখন কিছুটা সমস্যা দিচ্ছিল। তাই একটি নতুন ফ্রিজ ছাড়া চলছিল না। কারণ ফ্রিজ এখন প্রতিটি পরিবারের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মতো। আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছিল যে, এবার ফ্রিজ কিনলে ওয়ালটন ফ্রিজই কিনবো। কারণ ওয়ালটন দেশীয় কোম্পানি অথচ মানে অন্যান্য কোম্পানির চেয়ে সেরা। এটা আমার কথা নয়, যারা দীর্ঘদিন ধরে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্যবহার করছেন এটা তাদেরই কথা। ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে আমি ওয়ালটনের ব্যাপক প্রশংসা শুনেছি। সবমিলে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনার সিদ্ধান্ত নিই।’

তিনি জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৮ জানুয়ারি বাসার পাশে ওয়ালটনের ডিলার মেসার্স বিসমিল্লাহ ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সের শোরুমে যান তিনি। সেখান থেকে ২৬ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে সাড়ে ১৬ সিএফটি আয়তনের একটি ফ্রিজ কেনেন। সে সময় ওই শোরুমের ম্যানেজার জহুরুল ইসলাম জুয়েল জানান ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে ক্যাশ ভাউচারের অফার চলছে। ভাগ্য ভালো থাকলে এক লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে।

মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘ম্যানেজারের কথা  আমার বিশ্বাস হয়নি। কারণ জীবনে অনেক কোম্পানিকে এ ধরনের অফার দিতে দেখেছি। কিন্তু কোনোদিন কেউ পেয়েছে বলে আমার মনে হয় না। এমনকি কারো কাছে শুনতে পর্যন্ত পাইনি যে অমুক ব্যক্তি পেয়েছে। আসলে সব কোম্পানিই প্রচারের স্বার্থে ও ক্রেতা টানতে বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের অফার ঘোষণা করে। পরে কি হয় তা কোম্পানির লোক ছাড়া আর কেই জানে না।’

শাহাদাৎ হোসেনকে শোরুমের ম্যানেজার জহুরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘অন্যান্য কোম্পানির মতো ওয়ালটন নয়। ওয়ালটন যেটা বলে সেটা করে। কিছুদিন আগেও এখান থেকে একজন কাস্টমার ১০ হাজার টাকার উপহার পেয়েছেন। তাছাড়া সারা দেশে প্রতিদিন এক বা একাধিক ব্যক্তি লাখ টাকা করে উপহার পাচ্ছেন। সেটা গোপনে নয়। ছবিসহ বিজয়ীদের অনুভূতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে।’

শাহাদাৎ হোসেনের হাতে ওয়ালটনের লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য তুলে দেওয়া হচ্ছে

মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘ম্যানেজারের এমন কথায়ও আমার বিশ্বাস হয়নি। তারপরেও ওয়ালটনের অফারে অংশ নেওয়ার জন্য আমার মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করি। তাও আবার আমার নামে নয়, আমার দেড় বছরের মাসুম বাচ্চা মো. ফরিদ হোসেনের নামে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে আমার মোবাইলে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার মেসেজ আসে। যা দেখে আমি যেন আকাশ থেকে পড়ি।’

তিনি বলেন, ‘দেখেন, আল্লাহ তায়ালার কি লিলা। যে বিষয়ে আমার বিশ্বাস ছিল না। অবিশ্বাসের সেই জায়গাতে দাঁড়িয়ে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় উপহারটি পেলাম। এটা আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না। কিন্তু বিশ্বাস করা ছাড়া উপায়ও নাই। কারণ তার ডকুমেন্টস হিসেবে আমার মোবাইলে এসএমএস এসেছে। এক লাখ টাকার পণ্যও হাতে পেয়েছি। তখনই আমার মনে হয়েছে সব কোম্পানি এক না। দেশের সবাই গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে না। এখনো ভালো কোম্পানি দেশে আছে। ওয়ালটনই আমার পূর্বের ধারণা পরিবর্তন করেছে।’  

শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘আমাদের বাসায় আগে থেকেই ওয়ালটনের টিভিসহ আরো অনেক পণ্য ব্যবহৃত হচ্ছে। সার্ভিসটা খুবই ভালো। এবার ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনলাম। সাথে এক লাখ টাকা জিতেও নিলাম। এর চেয়ে ভালো ভাগ্য আর কি হতে পারে! আমার স্ত্রীসহ সব আত্মীয়-স্বজন অনেক খুশি হয়েছে।’

ক্যাশ ভাউচারের টাকা দিয়ে কি কিনেছেন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লাখ টাকার এ পুরস্কার দিয়ে একটি ওয়াশিং মেশিন, একটি ফ্রিজ, ৩২ ইঞ্চির একটি এলইডি টিভি, একটি রাইস কুকার এবং একটি প্রেসার কুকার কিনেছি।’ 

এদিকে বিসমিল্লাহ ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সের ম্যানেজার জহুরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘শাহাদাৎ হোসেনকে ক্যাশ ভাউচারের পণ্য এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে তাকে নিয়ে ব্যান্ড পার্টি সহযোগে এলাকার বিভিন্ন স্থান ঘোরানো হয়েছে। যা ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এরপর থেকে আমাদের শোরুমে বিক্রিও আগের চেয়ে বেড়েছে।’

উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ জানুয়ারি ২০১৮/অগাস্টিন সুজন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়