ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না হওয়া দুঃখজনক

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৮, ১৯ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না হওয়া দুঃখজনক

নটিংহ্যাম থেকে ইয়াসিন হাসান : শেষ চার বছরে মাশরাফির দল ওয়ানডে ক্রিকেটে যে স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করেছে তা পুরো বিশ্ব মুগ্ধ হয়ে দেখেছে।  মাঠের পারফরম্যান্সে র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ দিয়েছে বড় লাফ। বড় প্রায় প্রত্যেক দলকেই হারিয়েছে বাংলাদেশ।  শক্তিমত্তায় পিছিয়ে থাকা দলগুলোর থেকে পেয়েছে প্রত্যাশিত জয়।

ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডকে নান্তানাবুদ করেছে একাধিকবার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে তো বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতে পারেনি।  ব্যতিক্রম শুধু অস্ট্রেলিয়া।  পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে দুই বিশ্বকাপের মাঝে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছে মাত্র একটি।  ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচটি বৃষ্টিতে পন্ড হয়েছিল।  তাই প্রতিপক্ষ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া কেমন তা মাঠে থেকে টের পায়নি বাংলাদেশ।

অজানা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বিশ্বকাপের পরবর্তী ম্যাচে বৃহস্পতিবার মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।  খেলার অভ্যাস এবং প্রতিপক্ষ শিবির সম্পর্কে ধারণা না থাকা উদ্বেগের কারণ।  তবে মাশরাফি ঠিক ম্যাচের আগে নেতিবাচক দিক নিয়ে ভাবতে নারাজ।  ‘অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের অনেক দিনের গ্যাপ হয়ে গেছে।  যখন আমরা শেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছিোম তখনও দুই দলের মধ্যে বড় পার্থক্য ছিল।  এখন আসলে আমাদের যে ভাবনা, আমরা যে কোনো দলকে হারাতে পারি….এই সময়টায় আমরা ওদের বিপক্ষে খোলার সুযোগ পাইনি। ওসব নিয়ে এখন আসলে ভাবতে চাই না।  কি হয়েছে না হয়েছে সেগুলো যদি চিন্তা করি তাহলে ম্যাচে প্রভাব পড়বে।’ – বলেছেন মাশরাফি।

নিকট অতীতে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো ওয়ানডে খেলেনি। ২০১১ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে তিন ওয়ানডের জন্য আতিথেয়তা দিয়েছিল।  এরপর ২০১৫ সালে ব্রিসবেনে এবং ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছিল ওভালে।  বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে শেষ ওয়ানডে খেলেছিল ২০০৭ সালে।  এরপর বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়া আমন্ত্রণ জানায়নি এবং বাংলাদেশের আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি তারা।  বিভিন্ন কারণে বাতিল হয়েছে সফর।

সফর বাতিল হওয়াকে দুঃখজনক বলছেন মাশরাফি,‘এটা অবশ্যই দুঃখজনক যে আপনি সিরিজও আয়োজন করছেন না আবার সফরেও যাচ্ছেন না।  ছোট ছোট দলগুলো যখন সফর করে তখন অনেক কিছু শেখে।  বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকায় যখন দলগুলো সফর করে তখন শিখতে পারে।  তাই সিরিজ বাতিল হওয়া কিংবা সফরে না যাওয়া দুঃখজনক।’

অস্ট্রেলিয়ান এক সংবাদিকের মাশরাফির কাছে প্রশ্ন ছিল, বিশ্বকাপের এ ম্যাচ দিয়ে কি বাংলাদেশ সফর বাতিল করার কিংবা সফরে আমন্ত্রণ  না পাওয়ার জবাব দেবে? মাশরাফির সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘আমাদের কাউকে প্রমাণের করার কিছু নেই।  আমরা আমাদের নিজেদের জন্য খেলব। আমরা আগের মতো নেই সেটা আমরা জানি।  এখন সিরিজ হবে কি হবে না সেটা তো বিসিবি এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ঠিক করবে।’

২০০৫ সালে বাংলাদেশ একবারই হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে।  এরপর দুই দল ওয়ানডে খেলেছে কালভাদ্রে।  সামনেও দুই দলের ওয়ানডে নেই। বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে যাবে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে।  ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দল খেলবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। এরপর ২০২৩ সাল পর্যন্ত কোনো ওয়ানডে সিরিজই নেই দুই দলের।



রাইজিংবিডি/১৯ জুন ২০১৯/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়